রাশিয়ার তেল আমদানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কায় বিশ্ববাজারে গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে তেলের দাম।
তেলের বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুডের প্রতি ব্যারেল বিক্রি হয়েছে ১৩৯ ডলারের বেশি দামে। এর আগে ১৩০ ডলারের কম দামে বিক্রি হচ্ছিল এ তেলের ব্যারেল।
বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহে ঘাটতির শঙ্কায় গত সপ্তাহে ২০ শতাংশ বেড়েছিল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম।
আমেরিকান অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, দেশটিতে গত এক সপ্তাহে পেট্রলের দাম ১১ শতাংশ বেড়েছে, যা ২০০৮ সালের জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর থেকে জোগান সংকটের শঙ্কার প্রভাব পড়েছে জ্বালানি বাজারে। জ্বালানির দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকজনের জীবনযাত্রার ব্যয়ও বাড়ছে।
এশিয়ার পুঁজিবাজারে সোমবার দরপতন দেখা গেছে। জাপানের নিক্কেই ও হংকংয়ের হ্যাং সেংয়ে তিন শতাংশের বেশি দরপতন হয়েছে।
স্থানীয় সময় রোববার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, রাশিয়ার তেল আমদানি নিষিদ্ধ করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের কর্মকর্তা ও মিত্ররা।
পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেন, রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধে আইন করা নিয়ে কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনে চলতি সপ্তাহেই ১ হাজার কোটি ডলার সাহায্য পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে চায় কংগ্রেস।
পেলোসি এক চিঠিতে বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতি থেকে রাশিয়াকে আরও বিচ্ছিন্ন করতে কড়া আইন করা নিয়ে কাজ করছে হাউস (প্রতিনিধি পরিষদ)।’
সামরিক অভিযানে থাকা রাশিয়ার ওপর কঠিন ব্যবস্থা নিতে অব্যাহত চাপের মধ্যে ব্লিঙ্কেন ও পেলোসি উল্লিখিত বক্তব্য দিলেন।