বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার ১০ দাবি, নিউজগার্ডের বক্তব্য

  •    
  • ৬ মার্চ, ২০২২ ১৩:৫৭

বিভিন্ন ‘অপপ্রচারের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়া আরটি এবং স্পুটনিক ইউরোপীয় ইউনিয়নে বন্ধ করে দিয়েছে বলে তাদের দাবি।  

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হয়েছে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি। অভিযানের পক্ষে-বিপক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে নানান কথা ও মিথ। এমনকি অনেক অনলাইন নিউজসাইটেও এগুলো ছড়িয়ে পড়েছে।

বিষয়গুলো নিয়ে অনলাইনে অনেকেই উসকানিমূলক কথা লিখছেন। কেউ কেউ অনেক অসত্য কথাও শেয়ার করে সেগুলোকে সত্য বলে দাবি করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নিউজগার্ড, যারা বিভিন্ন খবর ও তথ্যের সত্যতা খুঁজে বের করে তারা বলছে, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বিভিন্ন ওয়েবসাইটে নিজেদের ন্যারেটিভ প্রচার করছে।

এতে রাশিয়া-ইউক্রেন নিয়ে অন্তত ১০টি মিথ রাশিয়া ছড়িয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ এনেছে নিউজগার্ড।

বিভিন্ন ‘অপপ্রচারের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়া আরটি এবং স্পুটনিক ইউরোপীয় ইউনিয়নে বন্ধ করে দিয়েছে বলে তাদের দাবি।

পশ্চিমা গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এমন ১০টি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে যেগুলো রাশিয়ার গণমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে। তার বিপরীতে নিউজগার্ড ‘প্রকৃত তথ্য’ খুঁজে বের করার দাবি করেছে।

১. ‘রাশিয়া দাবি করেছে ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে রুশ ভাষাভাষীরা গণহত্যার শিকার হয়েছে।’

ইউরোপের দ্য অরগানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কো-অপারেশ এমন কোনো দাবির কোনো তথ্য-উপাত্ত বা সত্যতা খুঁজে পায়নি।

২. ‘পোলিশভাষী নাশকতাকারীরা ডনবাস অঞ্চলের একটি ক্লোরিন প্লান্টে বোমা হামলার চেষ্টা করেছিল।’

এক ভিডিওতে সে ‘হামলার’ বিষয়টি ধরা পড়ার কথা বলা হলেও এর কোনো প্রমাণ নেই। এটি অভিযোগ ওঠার কয়েক দিন আগের।

৩. ‘পশ্চিম ইউক্রেনের লুহানস্কে একটি কিন্ডারগার্টেনে ইউক্রেন গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বোমা হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।’

যে গোলাটি স্কুলে পড়েছে সেটি রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গোলাগুলি থেকে এসে পড়েছিল।

৪. ‘রাশিয়া তাদের অভিযানে ইউক্রেনের কোনো বেসামরিক নাগরিক ও অবকাঠামোকে টার্গেট করেনি।’

অভিযানের এক দিন পর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইউক্রেনের অন্তত তিনটি বেসামরিক এলাকায় রাশিয়ার সামরিক বাহিনী হামলা করেছে।

৫. ‘কিয়েভের প্রশ্রয় ও সমর্থনে নাৎসিবাদ ইউক্রেনের রাজনীতি ও সমাজে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে।’

২০১৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী উগ্র ডানপন্থি নেতা সোবোদা ১ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।

৬. ‘পশ্চিমা সমর্থনে রাশিয়াপন্থি ইউক্রেন সরকারকে ২০১৪ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল।’

পশ্চিমা সমর্থনে সে বছর রাশিয়াপন্থি সরকারকে উৎখাত করার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

৭. ‘পশ্চিম ইউরোপে জৈব অস্ত্রের জন্য যুক্তরাষ্ট্র একটি নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করেছে।’

এটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের বায়োলজিক্যাল থ্রটে রিডাকশন প্রোগ্রামের একটি ভুল উপস্থাপনা থেকে এমন দাবি করা হয়েছে।

৮. ‘ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের ওডেসা অঞ্চলে ন্যাটোর একটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে।’

ইউক্রেনে বিদেশি সামরিক ঘাঁটির কোনো অনুমোদন নেই।

৯. ‘ক্রিমিয়া স্বেচ্ছায় রাশিয়ার সঙ্গে এক হয়েছে।’

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২০১৪ সালের একটি গণভোট করে ঘোষণা করেছে, ক্রিমিয়ার রাশিয়ায় যোগদানকে তারা সমর্থন করে না, এটি অবৈধ।

১০. ‘আধুনিক ইউক্রেন সম্পূর্ণভাবে রাশিয়ার কমিউনিস্ট দিয়ে গড়ে ওঠা।’

আসলে ইউক্রেন ও রাশিয়ার ইতিহাস, ঐতিহ্য হাজার বছরের পুরোনো।

এ বিভাগের আরো খবর