জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে রুশ হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করছেন কর্মীরা। কেন্দ্রটির নিরাপদ পরিচালনা নিশ্চিতের চেষ্টা করছেন তারা।
বর্তমানে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির তেজস্ক্রিয়তা বিকিরণের মাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির পারমাণবিক জ্বালানির শীতলীকরণ প্রক্রিয়া যদি বিঘ্নিত হয় তাহলে বড় আকারের বিকিরণজনিত ক্ষতি হতে পারে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বোমাবর্ষণ ও যুদ্ধ চলতে থাকায় কেন্দ্রটির আশপাশ থেকে যেসব ইউক্রেনীয়কে বর্তমানে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, তারা এতে আক্রান্ত হতে পারেন।
‘রাশিয়া ইচ্ছাকৃত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এই পদক্ষেপ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটোমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) অধীনে সব আন্তর্জাতিক চুক্তির লঙ্ঘন।’
ওই এলাকা থেকে রুশ বাহিনী সরিয়ে নিতে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে ইউক্রেনের চেরনোবিলে সোভিয়েত আমলে এক পারমাণবিক দুর্ঘটনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। পারমাণবিক প্রযুক্তির ইতিহাসে এটিই ছিল সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা।
হামলার পর জাপোরিঝিয়াতে আগুনের সূত্রপাত হওয়ার পরে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা বলেন, ‘জাপোরিঝিয়ায় যেকোনো বিপর্যয় চেরনোবিলের থেকেও ১০ গুণ বিপর্যয়কর হবে।’
ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এই জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। ইউক্রেনের চাহিদার চার ভাগের এক ভাগ বিদ্যুতের জোগান দেয় এই কেন্দ্রটি।