বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিশ্বকে পারমাণবিক ছাইয়ে ঢেকে দেয়ার হুমকি বাস্তব: জেলেনস্কি

  •    
  • ৪ মার্চ, ২০২২ ১০:৪৪

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি বলেন, রুশ প্রপাগান্ডা এর আগেও সতর্ক করেছে। কিন্তু এখন এটি বাস্তব, বিশ্বকে এরা পারমাণবিক ছাইয়ে ঢেকে দেবে। এখন আর সতর্কতা নয়, বাস্তব।

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে রুশ হামলায় আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্বকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, টুইটারে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে ভলদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক চুল্লিতে আগুন লেগেছে।’

তিনি অভিযোগ করেন, রুশ সেনারা ইচ্ছাকৃতভাবে জাপোরিঝিয়ায় ছয়টি চুল্লিতে ট্যাঙ্ক থেকে গোলা ছুড়েছে।

এ সময় জেলেনস্কি বলেন, জাপোরিঝিয়ার পরিস্থিতি চেরনোবিলের বিপর্যয়ের থেকেও খারাপ হবে।

তিনি সাধারণ ইউরোপীয়দের অনুরোধ করে বলেন, ‘ইউরোপীয়রা, দয়া করে জেগে উঠুন। আপনাদের রাজনীতিবিদদের বলুন, রুশ সেনারা ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে গুলি করেছে।’

জেলেনস্কি আরও বলেন, রুশ প্রপাগান্ডা এর আগেও সতর্ক করেছে। কিন্তু এখন এটি বাস্তব, বিশ্বকে এরা পারমাণবিক ছাইয়ে ঢেকে দেবে। এখন আর সতর্কতা নয়, বাস্তব।

এদিকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট পুতিনের বেপরোয়া পদক্ষেপ এখন সমগ্র ইউরোপের নিরাপত্তাকে সরাসরি হুমকির মুখে ফেলতে পারে।’ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে এক ফোনালাপে এমনটাই বলেন বরিস জনসন।

জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে রুশ হামলায় আগুন ধরে গেলে সে ইস্যুতে এই দুই নেতার ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এর আগে সরাসরি সম্প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেশের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুনের শিখা দেখা গেছে এবং সে সময় ভবনগুলোতে ট্যাঙ্ক থেকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়।

ইউক্রেনের পরমাণুশক্তি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাপোরিঝিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রে ছয়টি পারমাণবিক চুল্লি রয়েছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রই ইউক্রেনের মোট ব্যবহৃত বিদ্যুৎশক্তির চার ভাগের এক ভাগ জোগান দেয়।

যদিও শুরুর দিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছিল রুশ সেনারা তেজস্ক্রিয় পদার্থের একটি ইউনিটে আগুন নেভাতে দমকলকর্মীদের সেখানে যেতে বাধা দিচ্ছে। পরে স্থানীয় মিডিয়া জানায়, দমকলকর্মীরা আগুন নেভানোর জন্য কাজ করছেন।

প্লান্টের মুখপাত্র আন্দ্রি তুজ ইউক্রেনীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, ‘আগুন নেভানোর জন্য লড়াই বন্ধ করা জরুরি। আগুন লাগা চুল্লিটি সংস্কার চলার কারণে ব্যবহৃত হচ্ছে না, তবে এর ভেতরে পারমাণবিক জ্বালানি রয়েছে।’

টেলিগ্রামে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে তুজ বলেন, ‘আমরা ভারী অস্ত্রের গোলাগুলি বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। ইউরোপের বৃহত্তম এই পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্রে সত্যিকার পারমাণবিক ঝুঁকি রয়েছে। এরই মধ্যে একটি পাওয়ার প্লান্টে আঘাত লেগেছে।’

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা বলেন, ‘ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারদিকে রুশ সেনারা গুলি চালাচ্ছে। এরই মধ্যে আগুন লেগেছে। যদি এটি বিস্ফোরিত হয়, তবে তা চেরনোবিল (সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের ইউক্রেনে চেরনোবিল পারমাণবিক দুর্ঘটনাকে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিপর্যয় হিসেবে ধরা হয়) দুর্ঘটনার থেকেও ১০ গুণ বড় বিপর্যয় আনবে।

‘রুশদের অবশ্যই গোলা নিক্ষেপ বন্ধ করতে হবে, দমকলকর্মীদের ব্যবস্থা নিতে অনুমতি দিতে হবে ও সুরক্ষা বলয় স্থাপন করতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর