ইউক্রেনের নৌবাহিনী বলছে যে রাশিয়ার হামলার প্রথম দিনে স্নেক আইল্যান্ড রক্ষা করতে যে ১৩ জন সেনা নিহতের বিষয়টি ধারণা করা হয়েছিল, তারা সম্ভবত জীবিত আছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধ জাহাজকে ‘জাহান্নামে যাও’ বলার পর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ধারণা করা হয়েছিল তারা রুশ হামলায় নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনার পর ১৩ জন সীমান্তরক্ষীকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে মরণোত্তর সম্মান প্রদান করা হয়।
তবে এবার রুশ সেনারা জানিয়েছেন, স্নেক আইল্যান্ডের সীমান্তরক্ষীরা জীবিত আছেন। তারা আত্মসমর্পণ করেছেন।
গত সোমবার ইউক্রেন নৌবাহিনীর পক্ষ থেকেও জানানো হয়, ‘আমাদের ভাইয়েরা ভালো আছে, সুস্থ আছে।’
ইউক্রেনের নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, দ্বীপে থাকা সীমান্তরক্ষী ও নৌসেনারা দুইবার রাশিয়ার হামলা প্রতিহত করেছিলেন। কিন্তু গোলাবারুদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তারা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারেননি।
তাদের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, রুশ হামলায় দ্বীপের অবকাঠামো সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়েছে। বাতিঘর, টাওয়ার, অ্যান্টেনা ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
এদিকে ইউক্রেন অভিযোগ করেছে, রুশ নৌবাহিনী ইউক্রেনের একটি বেসামরিক অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী জাহাজের ক্রুদের অবৈধভাবে আটক করেছে। দ্বীপটিতে রুশ হামলার পর সেখানে থাকা সীমান্তরক্ষী ও নৌসেনাদের অবস্থা জানতে অনুসন্ধানকারী ও দুজন পুরোহিতকে পাঠানো হয়েছিল।
ইউক্রেনের দাবি, এটি কোনো সামরিক অভিযান ছিল না। এমন একটি জাহাজ আটক করা যুদ্ধের নিয়ম, রীতিনীতি ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র শুক্রবার ঘোষণা করেছেন, স্নেক আইল্যান্ডে থাকা ৮২ জন ইউক্রেনীয় সেনা ‘তাদের অস্ত্র জমা দিয়েছেন ও স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন।’
সেই মুখপাত্র বলেন, বন্দিদের শত্রুতায় অংশ না নেয়ার প্রতিশ্রুতিতে স্বাক্ষর করতে বলা হয়েছিল।
রুশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভবিষ্যতে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হবে।
স্নেক আইল্যান্ডটি উত্তর-পশ্চিম কৃষ্ণসাগরে অবস্থিত। ইউক্রেনের মূল ভুখণ্ড থেকের এর দূরত্ব ৪৮ কিলোমিটার। ২০১৪ সালে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়া ক্রিমিয়া থেকে এর দূরত্ব ৩০০ কিলোমিটার।