ইউক্রেনে চলছে রুশ সেনাদের হামলা। প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির সাহায্যের আহ্বানে ন্যাটোভুক্ত কোনো দেশ সেনা সাহায্য দেয়নি ইউক্রেনকে। তবে অস্ত্র ও মানবিক সহায়তা দিচ্ছে পশ্চিমারা।
ইউক্রেনে রুশ হামলা প্রতিহত করতে সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার মতে, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র একে অপরকে গুলি করা মানে বিশ্বযুদ্ধ।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরাসরি যুদ্ধে না জড়ালেও ইউক্রেনকে সহায়তা ও রাশিয়াকে চাপে ফেলতে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এরই মধ্যে ইউক্রেনকে ৩৫০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। এ ছাড়া মানবিক সহায়তা হিসেবে আরও ৫৪ মিলিয়ন ডলার দেয়া হবে। যুদ্ধ শুরুর আগেও ইউক্রেনে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পাঠিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
পুতিনকে চাপে ফেলতে রাশিয়ার কয়েকটি ব্যাংকের বৈশ্বিক সুইফট মেসেজিং সিস্টেম সুবিধা বাতিল করা হয়েছে। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপরও কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। ফলে রুবলের দাম পড়ে যাচ্ছে।
ট্রান্স-আটলান্টিক টাস্কফোর্সে যোগ দিয়ে রাশিয়ার শাসক শ্রেণির সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তিদের সম্পদ জব্দ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমা রুশ বিমানের জন্যও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ ছাড়া কংগ্রেসের কাছে সামনের কয়েক মাসে ইউক্রেনকে সহায়তার জন্য ৬.৪ বিলিয়ন ডলারের জরুরি অর্থ সহায়তা চেয়েছে হোইয়াইট হাউস।
তবে প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি ইউক্রেনের আকাশসীমায় নো-ফ্লাই জোন প্রতিষ্ঠার দাবি জানালে তা বাতিল করে দেয় হোয়াইট হাউস। এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হতে আবেদন করেছে ইউক্রেন। জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউরোপ প্রমাণ করুক তারা যে ইউক্রেনের পাশে আছে।’
৭০টি যুদ্ধবিমান ইউক্রেনের বিমানবাহিনীকে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে ন্যাটোভুক্ত ৩ দেশ পোল্যান্ড, বুলগেরিয়া ও স্লোভাকিয়া।
ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। হামলার পর থেকে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ, বিশেষ করে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো রাশিয়ার ওপর অবরোধ আরোপ শুরু করে। এই যুদ্ধ থামাতে বিভিন্ন পক্ষ আলোচনায় বসার আহ্বান জানায় রাশিয়াকে।
ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করলেও রাশিয়া আগের চেয়ে বেশি সেনা মোতায়েন করে হামলা বাড়িয়েছে ইউক্রেনে। ইতোমধ্যে খেরসন শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ সেনারা। তীব্র গোলাবর্ষণ ও হামলা চলছে কিয়েভ ও খারকিভে। সিএনএন জানিয়েছে, খেরসন শহর দখলে নিয়েছে রুশ সেনারা।