ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা চলার মধ্যেই কিয়েভসহ অন্য শহরগুলোতে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। গতকাল মঙ্গলবার কিয়েভ, দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভসহ কয়েকটি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা।
৪০ মাইলের বিশাল সামরিক বহর নিয়ে রাশিয়া মঙ্গলবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দিকে এগিয়ে গেছে। বলা যায়, কিয়েভ, খারকিভ দুটি শহরও চারদিক থেকে অবরুদ্ধ করে ফেলেছে রুশ সেনারা।
কিয়েভে হামলার আগে শহরের উপকণ্ঠে বাধা পেয়ে রুশ সেনারা মঙ্গলবার ব্যাপক হামলা চালিয়েছে বলে জানায় সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
বিবিসির খবরেও রাশিয়ার ব্যাপক হামলার খবর উঠে এসেছে।
মঙ্গলবার কিয়েভে টেলিভিশন টাওয়ারে হামলা চালায় রুশ সেনারা। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় টাওয়ারটি গুঁড়িয়ে দেয়ার দাবি করেছে তারা। এ ছাড়া খারকিভেও ব্যাপক গোলাবর্ষণ করা হয়।
বুধবার সকালেও হামলা অব্যাহত রাখা হতে পারে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন।
অন্যদিকে আরেক শহর জাইটোমাইরে রুশ হামলায় চারজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের ইন্টেরিয়র মিনিস্টারের উপদেষ্টা।
শহরটি রাজধানী কিয়েভ থেকে ৭৫ মাইল দূরে অবস্থিত।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা
ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপর থেকে প্রেসিডেন্ট পুতিনের দেশটির ওপর একের পর এক পশ্চিমাদের অবরোধ আরোপ শুরু হয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, সিঙ্গাপুরের মতো দেশগুলোও নানা অর্থনৈতিক অবরোধ দেয়।
মঙ্গলবার রাশিয়ার ওপর নতুন করে আকাশসীমা ব্যবহারের অবরোধ দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
সমুদ্র পথে পণ্য পরিবহনের সবচেয়ে বড় শিপিং কোম্পানিও রাশিয়ায় কোনো পণ্য পৌঁছাবে না বলে জানিয়ে দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রের বিমান প্রতিষ্ঠান রাশিয়াকে কোনো ধরনের সেবা না দেয়ার কথাও জানায় এ দিন।
ভিসা, মাস্টারকার্ডও তাদের লেনদেন বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়ায়।