যুদ্ধক্ষেত্র ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে আটকে পড়া ভারতীয়দের অবিলম্বে সে শহর ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দেশটির হাইকোর্ট এই নির্দেশনা দিয়ে বলেছে, মাথা ঠান্ডা রেখে যতদ্রুত সম্ভব ট্রেনে বা স্থানীয় যেকোনো পরিবহনে কিয়েভ ছাড়তে হবে। ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের জন্য জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত।
তবে ফেরার পথে অনেকে অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে দেয়া নির্দেশিকায়।
ভারতীয়দের ফেরাতে ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশগুলোর সাহায্য নিচ্ছে ভারত। রোমানিয়া, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ডের মতো দেশের সাহায্যে ভারতীয়দের ফেরাতে তৎপর সরকার।
মঙ্গলবার সকালেই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাসের নির্দেশিকায় বলা হয়, ‘শিক্ষার্থীরাসহ সব ভারতীয়কে মঙ্গলবারই কিয়েভ ছাড়তে হবে। ট্রেনে বা যেকোনো উপায়ে ছাড়তে হবে কিয়েভ।’
এর আগে দূতাবাসের পক্ষ থেকে কিয়েভের রেলস্টেশনে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ভারতীয়দের। সেখানে থাকার কথা বিশেষ ট্রেন, যাতে দেশের পশ্চিম দিকে যাওয়া সম্ভব।
এ দিনের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রত্যেক ভারতীয় আতঙ্কিত যেন না হন। ঠান্ডা মাথায় কিয়েভ ছাড়ার চেষ্টা করতে হবে। স্টেশনে যে পরিস্থিতিই তৈরি হোক না কেন, তাতে অযথা উদ্বিগ্ন হওয়া যাবে না।
আটকে থাকা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সঙ্গে পাসপোর্ট, অর্থ ও পোশাক রাখতে হবে। ট্রেন দেরিতে চলতে পারে বা বাতিল হতে পারে। দীর্ঘক্ষণ লাইনেও দাঁড়িয়ে থাকতে হতে পারে।
জানা গেছে, ভারতীয় শিক্ষার্থীদের ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ হঙ্গেরি, রোমানিয়া, পোল্যান্ডে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেখান থেকে তাদের দিল্লি আনছে ভারত। ভারতের এই উদ্ধারকাজের নাম দেয়া হয়েছে ‘অপারেশন গঙ্গা’।
এ জন্য একটি নির্দিষ্ট টুইটার অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। সেই টুইটারে ওই প্রতিবেশী দেশগুলোর হেল্পলাইন নম্বর দেয়া হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনে ১৪ হাজার ভারতীয় শিক্ষার্থী আটকে রয়েছেন। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওবার্তার মাধ্যমে সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছেন।
এর আগে সোমবারই রোমানিয়া ও স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতীয়দের ফেরাতে সাহায্য করার জন্য দুই দেশের প্রধানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। আগামী দিনেও সাহায্যের অনুরোধ করেন মোদি।