কিয়েভ, খারকিভসহ প্রধান সব শহরের আকাশে উড়ছে রুশ যুদ্ধবিমান। রাশিয়ার দাবি, পুরো ইউক্রেনের আকাশে এখন রুশ আধিপত্য। এমন পরিস্থিতিতে রুশ বিমান হামলা ঠেকাতে রাজধানী ও গুরুত্বপূর্ণ শহরের আকাশে নো-ফ্লাই জোন কার্যকর করতে চান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
নো-ফ্লাই জোন প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা মিত্রদের সহায়তা করতে সোমবার আহ্বান জানান তিনি। তবে তাতে সাড়া দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়, হোয়াইট হাউস জানিয়ে দিয়েছে, ইউক্রেনের আকাশে ‘নো-ফ্লাই জোন’ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা ‘ভালো কোনো পরিকল্পনা নয়।’ এ ধরনের কোনো কিছু কার্যকর করতে গেলে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সামরিক সংঘাত বেঁধে যেতে পারে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, ‘নো-ফ্লাই জোন প্রতিষ্ঠা করতে গেলে রুশ বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করতে হবে। এই কাজ প্রেসিডেন্ট বাইডেন করতে চাইবেন না।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বরাবরই বলে আসছেন, রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক সংঘাত চায় না দেশটি।
বাইডেন ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর আগেই বলেন, ‘রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র একে অপরের দিকে গুলি ছুড়লে তা বিশ্বযুদ্ধে রূপ নেবে।’
এদিকে ম্যাক্সারের স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, রুশ সেনাদের ৪০ মাইল লম্বা একটি সামরিক বহর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
রাশিয়ার ওপর একের পর এক পশ্চিমা অবরোধও দেশটিকে ইউক্রেন হামলা থেকে সরাতে পারছে না। বেলারুশে সোমবার হয়ে যাওয়া ইউক্রেন-রাশিয়া আলোচনাতেও কোনো সমাধান আসেনি।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, রুশ হামলায় খারকিভ শহরে শিশুসহ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণার পর ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। এই অভিযানের ষষ্ঠতম দিনে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় লড়াই চলছে রুশ ও ইউক্রেনীয় সেনাদের।
প্রথম পাঁচ দিনের হামলায় রাশিয়ার ৫ হাজার ৩০০ সেনা নিহতের দাবি করেছে ইউক্রেন। এ সময়ে রাশিয়ার ২৯টি বিমান, ২৯টি হেলিকপ্টার, ১৯১টি ট্যাংক, ৮১৬টি সাঁজোয়া যান, ৭৪টি বন্দুক, একটি বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, ২১টি মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম, ২৯১টি যানবাহন, ৬০টি জলকামান, ৩টি ড্রোন ও ২টি জাহাজ/মোটরচালিত নৌকা ধ্বংস করেছে ইউক্রেন।