ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের মধ্যেই চীন দূতাবাস তাদের নাগরিকদের দেশটি থেকে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে।
কিয়েভের চীনা দূতাবাস বলছে, এরই মধ্যে ইউক্রেনে পড়াশোনা করা চীনা ছাত্রদের একটি দল গতকাল কিয়েভ ছেড়ে মলদোভায় চলে গেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন যে তাদের নাগরিকদের এখন সরিয়ে নিচ্ছে তার বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে।
সম্ভবত বেইজিং শুরুতে ধারণা করেছিল, রাশিয়াকে বিরক্ত করার দরকার নেই। বা হয়তো চীন ভেবেছিল, রাশিয়া এত দ্রুত ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণ নেবে যে চীনের নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার প্রয়োজনই হবে না।
এর থেকে সবচেয়ে উদ্বেগজনক সম্ভাবনা হলো চীন হয়তো ধরে নিয়েছে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
এদিকে বেলারুশ সীমান্তে উভয় দেশের প্রতিনিধিদের আলোচনায় কোনো সমাধান আসেনি। এর পরই স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, রুশ সেনাদের ৪০ মাইল লম্বা একটি সামরিক বহর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণার পর ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। এ অভিযানের ষষ্ঠতম দিনে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় লড়াই চলছে রুশ ও ইউক্রেনীয় সেনাদের।
প্রথম পাঁচ দিনের হামলায় রাশিয়ার ৫ হাজার ৩০০ সেনা নিহতের দাবি করেছে ইউক্রেন। এ সময়ে রাশিয়ার ২৯টি বিমান, ২৯টি হেলিকপ্টার, ১৯১টি ট্যাংক, ৮১৬টি সাঁজোয়া যান, ৭৪টি বন্দুক, একটি বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, ২১টি মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম, ২৯১টি যানবাহন, ৬০টি জলকামান, ৩টি ড্রোন ও ২টি জাহাজ/মোটরচালিত নৌকা ধ্বংস করেছে ইউক্রেন।