ইউক্রেনে চলছে রুশ হামলা। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ছেন ইউক্রেনীয় সেনারা। যুদ্ধের ষষ্ঠ দিনেও কিয়েভ দখলে আনতে পারেননি রাশিয়ার সেনারা। ন্যাটোভুক্ত কোনো দেশ ইউক্রেনের এমন পরিস্থিতিতে সেনা না পাঠালেও সহায়তা করছে সবাই। ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর পোল্যান্ড সর্বপ্রথম দেশটিতে সামরিক সাহায্য পাঠায়। এরপর ন্যাটোভুক্ত বাকি দেশগুলোও অস্ত্র পাঠাতে শুরু করে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার অস্ট্রেলিয়া দেশটিতে ৭০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ঘোষণা করেছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন মঙ্গলবার জানান, এ অর্থ সামরিক ও অসামরিক উভয় ক্ষেত্রেই ব্যয় হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষেপণাস্ত্র, গোলাবারুদ নিয়ে কথা বলছি, আমরা ইউক্রেনের নিজেদের মাতৃভূমির প্রতিরক্ষার লড়াইয়ে সমর্থন করার কথা বলছি।’
এই সাহায্যের বিষয়ে বিস্তারিত তিনি জানাননি। তবে বলেছেন, রাশিয়াকে ‘মাথা তুলে দাঁড়াতে’ দিতে চান না তিনি।
এ ছাড়া মরিসন জানিয়েছেন, ৭০ মিলিয়ন ডলারের বাইরেও তার সরকার ইউক্রেনে মানবিক সহায়তার জন্য ৩৫ মিলিয়ন ডলার দেবে।
বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণার পর ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। এ অভিযানের ষষ্ঠতম দিনে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায় লড়াই চলছে রুশ ও ইউক্রেনীয় সেনাদের।
প্রথম পাঁচ দিনের হামলায় রাশিয়ার ৫ হাজার ৩০০ সেনা নিহতের দাবি করেছে ইউক্রেন। এ সময়ে রাশিয়ার ২৯টি বিমান, ২৯টি হেলিকপ্টার, ১৯১টি ট্যাংক, ৮১৬টি সাঁজোয়া যান, ৭৪টি বন্দুক, একটি বিমানবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, ২১টি মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম, ২৯১টি যানবাহন, ৬০টি জলকামান, ৩টি ড্রোন ও ২টি জাহাজ/মোটরচালিত নৌকা ধ্বংস করেছে ইউক্রেন।