রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগ দিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
ইইউ ও ন্যাটোতে যোগদানের ইচ্ছার কারণেই ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে পুতিন বাহিনী। এর মাঝেই সোমবার ইইউতে যোগদানের আনুষ্ঠানিক আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন জেলেনস্কি। বিষয়টি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নিজেই নিশ্চিত করেছেন।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, বিশেষ পদ্ধতিতে ইউক্রেনকে সদস্য পদ লাভের অনুমতি দিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আবেদন করেছেন জেলেনস্কি। কারণ ইইউ ব্লকে যুক্ত হতে পারলে ন্যাটোতে ইউক্রেনের অন্তর্ভুক্তির পথ অনেকটা সহজ হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে রুশ আগ্রাসন মোকাবিলায় ইউক্রেন সরাসরি ব্লকের সহায়তা পাবে।
ইইউর চেয়ারম্যান চার্লস মিশেল ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডের লিয়ন প্যারিসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এবং জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।
ইউক্রেনের পশ্চিমা ঘেঁষা হওয়ার প্রবল ইচ্ছার কারণেই মস্কোর সঙ্গে কিয়েভের সম্পর্কের অবনতি চরমে পৌঁছায়। পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিতে অনড় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। আগ্রহী ন্যাটোও। আর এখানেই আপত্তি রাশিয়ার।
ঘরের পাশে শত্রুদের কোনোভাবেই ঠাঁই দেয়ার পক্ষে নয় মস্কো। হুমকি-ধমকিতে কাজ না হওয়ায় গত সপ্তাহে পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহী অধ্যুষিত দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
এর পরপরই ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে পুতিন বাহিনী। হামলার মুখে দেশ ছেড়ে পালাতে থাকে লাখো নাগরিক ও বিদেশি। এই অবস্থায় বেলারুশে শান্তি আলোচনায় বসে দেশ দুটির প্রতিনিধিদল। যদিও প্রথম দিনের বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত বা ঘোষণা আসেনি।