রাশিয়ার হামলার আগে থেকেই জনগণের নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে এনে রাজধানী কিয়েভে কারফিউ জারি করে ইউক্রেন। এক সপ্তাহ পর সোমবার সে কারফিউ তুলে নিয়েছে শহর কর্তৃপক্ষ।
রুশ হামলা থেকে বাঁচতে যেসব বাসিন্দা ঘরের বা সরকারি বেশ কিছু আন্ডারগ্রাউন্ড আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিল, তারা এখন চাইলেই বেরুতে পারবেন।
বিবিসির খবরে বলা হয়, সোমবার কিয়েভ সময় সকাল ৮টায় এই কারফিউ তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।
ফলে ইউক্রেন সরকারের পক্ষ থেকে অল্প সময়ের মধ্যে নিত্যপণ্যের জন্য মুদিখানা খুলে দেয়ার ঘোষণা আসবে। গণপরিবহনও চলাচল শুরু করবে। অবশ্য এখনই বৃহৎ পরিসরে পাতাল রেল চালু করবে না দেশটি। অল্প করে শুরু হবে পাতাল রেল চলাচল।
হামলার পঞ্চম দিন পর্যন্ত রাজধানী কিয়েভে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি রুশ সেনারা। যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তার বেশির ভাগই শহরের উপকণ্ঠে বিস্ফোরিত হয়েছে, শহরটির নিয়ন্ত্রণ এখনও পুরোটাই নিজেদের বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তাই জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করে তুলতে চায় ইউক্রেন।
অবশ্য ইউক্রেনের কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যুদ্ধ এখনও শেষ হয়ে যায়নি, এখনও বিভিন্ন সড়কে যুদ্ধ চলছে, সেটি শহরের প্রায় প্রতিটি জেলায়।
কিয়েভ শহরের কর্মকর্তারা বলছেন, শহরের বাসিন্দারা বেরিয়ে যে কিয়েভ দেখবে সেটি দেখার জন্য তারা মোটেই প্রস্তুত নন এবং এটি আগের চেয়ে পুরোটাই ভিন্ন।
কিয়েভ শহরের প্রশাসন বলছে, ‘যখন আপনারা সকাল ৮টার পর রাস্তায় বেরুবেন, তখন সেখানে ট্যাংকবিধ্বংসী অস্ত্র, বাংকারসহ বিভিন্ন জিনিস দেখতে পাবেন রাস্তার ওপর।’
কারফিউ আবারও রাত ১০টায় শুরু হবে এবং শেষ হবে আগামীকাল সকাল ৭টায়। এভাবেই সামনের দিনগুলোতে কারফিউ চলার কথা প্রতিবেদনে বলা হয়।
অবশ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, যদি একেবারেই প্রয়োজন না হয়, তাহলে যেন কেউ তাদের নিরাপদ আশ্রয় না ছাড়েন।