রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনকে সমর্থন দেয়ার ক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান নাটকীয়ভাবে বদলেছে জার্মানি।
দেশটি ইউক্রেনকে অস্ত্র পাঠানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেন ও পেমেন্ট ব্যবস্থা সুইফটে রাশিয়ার প্রবেশাধিকার সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কিয়েভে প্রাণঘাতী অস্ত্রের বড় চালানের অনুমোদন দেয়ার পর জার্মানির চ্যান্সেলর বলেন, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণে ইতিহাসের বাঁকবদল হয়েছে। এটি আমাদের যুদ্ধ-পরবর্তী সামগ্রিক বিন্যাসকে হুমকিতে ফেলেছে।
‘এমন পরিস্থিতিতে ভ্লাদিমির পুতিনের আগ্রাসী সেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা দিয়ে ইউক্রেনকে সহায়তা দেয়া আমাদের কর্তব্য।’
ওই সময় জার্মানি ঘনিষ্ঠভাবে ইউক্রেনের পাশে আছে বলে জোর দাবি করেন শুলজ।
সংঘাতে লিপ্ত অঞ্চলে অস্ত্র না পাঠানোর জার্মান নীতি দীর্ঘদিনের। সেটা থেকে সরে এসে ইউক্রেনে ট্যাংকবিধ্বংসী ১ হাজার অস্ত্র এবং ৫০০ স্টিঙ্গার ক্লাসের ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে দেশটি।
এর বাইরে নেদারল্যান্ডস দিয়ে ইউক্রেনে ট্যাংকবিধ্বংসী ৪০০ রকেট লঞ্চার পাঠানোর বিষয়টিও শনিবার অনুমোদন করে জার্মানি।
রুশ সামরিক অভিযানের তৃতীয় দিনে এসে জার্মানির পক্ষ থেকে অস্ত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয় ইউক্রেন। এর আগে ফ্রান্স অস্ত্র পাঠাচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।