ইউক্রেনের সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করলেই কিয়েভের সঙ্গে যেকোনো সময় আলোচনায় বসতে প্রস্তুত মস্কো। এমনটি জানিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ।
শুক্রবার মস্কোয় এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটি জানিয়েছেন সার্গেই ল্যাভরভ।
ল্যাভরভ বলেন, ‘যেকোনো সময় আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছি আমরা। তবে এর আগে ক্রেমলিনের আহ্বানে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে ইউক্রেনীয় সেনাদের।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইউক্রেনবাসীকে রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন থেকে রক্ষা করতে রাশিয়ার সেনারা রাজধানী কিয়েভে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।’
সংবাদমাধ্যম টিআরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনে সামরিকায়ন ও নাজিবাদ থেকে ঠেকাতে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানান এই রুশ মন্ত্রী।
পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার জবাবে এই রুশ মন্ত্রী হুঁশিয়ারি দেন সেই সব দেশের ওপরও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর রাশিয়ার ৪৫০ সেনা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে যুক্তরাজ্য।
গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওয়ালেসের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযানের প্রথম দিনে লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে রাশিয়া।
এদিকে রাজধানী রক্ষায় প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু করেছে ইউক্রেনের সেনা ও কিয়েভের বাসিন্দারা। ইউক্রেনের নিয়মিত সেনাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে রিজার্ভ সেনারাও।
সংরক্ষিত এসব সেনার মাঝে গোলাবারুদসহ অন্তত ১৮ হাজার অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে। তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসছেন অনেক সাধারণ নাগরিকও।