মানুষ বিয়ে করে ঘুরতে যায়। হয়তো দূরে কোথাও, উপকূলীয় কোনো জায়গায়, কিংবা পাহাড়ের কোল ঘেঁষে ছোট্ট কোনো বাড়িতে। একান্তে সময় কাটাবে নবদম্পতি। এমনটাই দেখে এসেছি আমরা। কিন্তু যুদ্ধের ভয়াবহতা পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের বাসিন্দা ইয়ারিনা আরিয়েভা ও তার সঙ্গী স্যাভিয়াতোস্লাভ ফুরসিন এবার চলমান যুদ্ধের মধ্যেই বিয়ে করেছেন।
রাশিয়ার হামলা শুরুর আগে তাদের পরিকল্পনা আট-দশটা যুগলের মতোই ছিল। এ বছরের ৫ মে তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং রেস্তোরাঁয় তা উদযাপন করার কথা ছিল। পরিকল্পনা ছিল বিয়ের উৎসবের পর তারা চলে যাবেন ডিনিবার নদীর কোল ঘেঁষে কোনো সুন্দর কুটিরে। ২১ বছর বয়সী আরিয়েভা বলেন, ‘যেখানে থাকব শুধু আমরা, নদী ও সুন্দর আলো।’
কিন্তু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যখন ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন, দ্রুত পরিস্থিতি বদলে যেতে থাকে। কিয়েভ শহরের সাইরেনের শব্দের সঙ্গেই তাদের পরিকল্পনার পরিবর্তন ঘটে। তারা বিয়ে করতে ছুটে আসেন চার্চে। যখন তারা নতুন জীবন শুরু করতে আবদ্ধ হচ্ছেন, তখনও বাইরে বেজে যাচ্ছে সাইরেন।
তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তারা জানেন না। কিন্তু তারা বেঁচে থাকতে ও লড়াই করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বিয়ের পরই তারা দেশরক্ষার সংকল্প নিয়ে আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর সেন্টারে যাবেন যুদ্ধে নাম লেখাতে।