সামরিক সক্ষমতার দিক থেকে ১৪০ দেশের মধ্যে আমেরিকার পরই রাশিয়ার অবস্থান। আর ইউক্রেন আছে তালিকায় ২২ নম্বরে। সামরিক শক্তি, অর্থনীতি, লজিস্টিক ক্ষমতা এবং ভৌগোলিক অবস্থানসহ ৫০টি দিক যাচাই করে প্রতি বছর র্যাংকিং প্রকাশ করে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার।
তাদের ২০২২ সালের তালিকা বিশ্লেষণে একটি বিষয় সুস্পষ্ট যে, এক অসম লড়াই চলছে ইউক্রেনে। সাড়ে আট লাখ সক্রিয় রুশ সেনার বিপরীতে ইউক্রেনের আছে দুই লাখ সেনা। রাশিয়ার আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য আড়াই লাখ; যেখানে ইউক্রেনের আছে ৫০ হাজার।
রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজের সংখ্যা ৬০৫টি; ইউক্রেনের আছে ৩৮টি। রাশিয়ার সামরিক বহরে বিমান আছে ৪ হাজার ১৭৩টি; জঙ্গিবিমান ৭৭২টি। অন্যদিকে ইউক্রেনের সামরিক বিমানের সংখ্যা ৩৮; জঙ্গিবিমান ৬৯।
এ ছাড়া রুশ সেনাবাহিনীর কাছে আছে ১ হাজার ৫৪৩টি সামরিক হেলিকপ্টার; ইউক্রেনের ১১২টি। রাশিয়ার ৩০ হাজার ১২২টি সাঁজোয়া যানের বিপরীতে ইউক্রেনের আছে ১২ হাজার ৩০৩টি। ইউক্রেনের চেয়ে ৯ হাজার ৮২৪ বেশি ট্যাংক আছে রাশিয়ার কাছে। আর অ্যাটাকিং হেলিকপ্টার ১৬ গুণ বেশি আছে রাশিয়ার।
যদিও পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা করছে, তবুও এই লড়াইয়ে বহু হতাহতের পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে ইউক্রেন।