ইউক্রেনে চালানো রাশিয়ার সামরিক হামলা থেকে বাঁচতে বাড়িঘর ছাড়ছেন দেশটির হাজারো নাগরিক। শরণার্থীদের সম্ভাব্য ঢল সামাল দিতে সীমান্ত খুলে দেয়ার পাশাপাশি সব ধরনের মানবিক সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া, জার্মানিসহ অনেক প্রতিবেশী দেশ।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, ইউক্রেনে সংঘাতময় পরিস্থিতি আরও বেশি ভয়াবহতার দিকে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার বিষয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
ইউএনএইচসিআরের প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেন, ‘ইউক্রেনে হামলার ঘটনায় হতাহতদের ওপর নজর রেখেছি আমরা। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বাড়িঘর ছাড়তে শুরু করেছেন দেশটির নাগরিকরা।’
সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশগুলো এরই মধ্যে হামলার শিকার মানুষদের নিরাপদ আশ্রয় দেয়ার জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছে।
শরণার্থীদের জন্য সীমান্তে অভ্যর্থনা কেন্দ্র চালু করেছে পোল্যান্ড এবং আহত ইউক্রেনীয়দের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হাসপাতালগুলোয় বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছে।
হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ার সরকার জানিয়েছে, শরণার্থীদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রয়েছে দুই দেশ। সেই সঙ্গে ইউক্রেন সীমান্তে শরণার্থীদের বাড়তি চাপ সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনা করতে সেখানে অতিরিক্ত সেনা পাঠিয়েছে।
আশ্রয়প্রার্থীদের প্রতি সর্বোচ্চ সহনশীলতা দেখাতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইডুয়ার্ড হেগার।
ইউক্রেনের সীমান্তঘেঁষা দেশগুলোয় শরণার্থীদের জন্য জরুরি মানবিক সহায়তা পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছে ইউরোপের শক্তিধর দেশ জার্মানিও।