এবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ঘেরাও করার পরিকল্পনা নিয়েছেন ট্রাকচালকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এরই মধ্যে ওয়াশিংটনে সেনা মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ফেডারেল সরকারের দেয়া বিধিনিষেধের প্রতিবাদে বড় ধরনের বিক্ষোভের পরিকল্পনা নিয়েছেন দেশটির ট্রাকচালকরা।
এর আগে প্রতিবেশী দেশ কানাডায় করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন দেশটির ট্রাকচালকরা। সেই আন্দোলন ও ঘেরাও কর্মসূচিতে কার্যত অচল ও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রাজধানী অটোয়া। বন্ধ হয়ে যায় প্রতিবেশী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জরুরি পণ্যের আমদানি-রপ্তানিও।
যুক্তরাষ্ট্রে ‘পিপলস কনভয়’ নামের এই আন্দোলনের সংগঠকরা জানিয়েছেন, দেশের অর্থনীতি চাঙা ও পুনরুদ্ধার করতে তারা এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভের পরিকল্পনা নিয়েছেন। কানাডায় হয়ে যাওয়া বিক্ষোভের আদলেই হবে তাদের এই প্রতিবাদ।
এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছেন, ১১ দিনের এই আন্দোলনে অংশ নেয়া ট্রাকচালকরা অন্তত চার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে রাজধানী ওয়াশিংটনকে ঘিরে রাখা বেল্টওয়ে নামের মহাসড়কে জড়ো হবেন। তবে ওয়াশিংটন ডিসিতে তারা ট্রাক চালিয়ে নাও ঢুকতে পারেন।
ট্রাকচালকরা বিভিন্ন বহর নিয়ে আলাদা সময়সূচি মতো আন্দোলনে অংশ নেবেন। তাদের কেউ কেউ ১ মার্চ জাতির উদ্দেশে দেয়া প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভাষণের দিন ওয়াশিংটনে জড়ো হতে পারেন। তবে অধিকাংশ আন্দোলনকারীরা এর কয়েক দিন পর সেখানে পৌঁছাবেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ওয়াশিংটনে সেনা মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। ছবি: এএফপি
ট্রাকচালকের এই আন্দোলন দমাতে ন্যাশনাল গার্ড সেনা মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ৭০০ নিরস্ত্র সেনা সদস্য মোতায়েনের আবেদনে সই করেন।
বিবৃতিতে পেন্টাগন জানিয়েছে, আন্দোলনের সময় ওয়াশিংটন ডিসিতে যান চলাচল সচল রাখতে ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা দিতে এসব নিরস্ত্র সেনা নামানো হবে।
সেনারা অস্ত্র বহন করবেন না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা অথবা অভ্যন্তরীণ নজরদারিতে ন্যাশনাল গার্ড সেনারা অংশ নেবেন না।
ফেডারেল স্টেট ডিপার্টমেন্ট ও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশির সংখ্যা সাড়ে ১০ লাখের বেশি।