বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ নিষেধাজ্ঞা

  •    
  • ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৯:৪৮

পুতিনের সব পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে উল্লেখ করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, ‘আমরা জানি না কী ঘটতে যাচ্ছে। তবে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে যেন নিজেদের ও মিত্রদের নিরাপত্তায় হুমকি আসে এমন যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারি।’

ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার তিন ব্যবসায়ী ও পাঁচ ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। নিষেধাজ্ঞায় পড়া তিন রুশ ধনকুবের হলেন গেনাডি টিমচেঙ্কো, বরিস রোটেনবার্গ ও ইগর রোটেনবার্গ। ব্যাংকগুলো হলো রাসিয়া, আইএস ব্যাংক, জেনারেল ব্যাংক, প্রমসভিয়াজব্যাংক এবং ব্ল্যাক সি ব্যাংক।

ব্রিটেনের এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর রাশিয়ার বিরুদ্ধে হুমকির বাস্তবায়ন শুরু হলো বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, ‘তিন রুশ ব্যবসায়ীর লন্ডনের সব সম্পত্তি জব্দ করা হবে। তারা যুক্তরাজ্যে ঢুকতে পারবেন না। কোনো ব্রিটিশ নাগরিক বা সংস্থা তাদের সঙ্গে লেনদেনে যেতে পারবে না।

‘এটা আমাদের প্রাথমিক পদক্ষেপ। অবস্থা বুঝে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতিও নেয়া আছে আমাদের।’

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অফ কমন্সে মঙ্গলবার দেয়া বক্তব্যে বরিস জনসন এসব বলেন। বক্তব্যের শুরুতেই রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে শান্তিচুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ তোলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘ইউক্রেনের দুটি বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চলকে স্বীকৃতি দিয়ে মিনস্ক চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে ক্রেমলিন। ইউক্রেনের ঐতিহ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পুতিন, মিথ্যাচার করছেন।’

পুতিনের সব পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে জানিয়ে জনসন বলেন, ‘আমরা জানি না কী ঘটতে যাচ্ছে। তবে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে যেন নিজেদের ও মিত্রদের নিরাপত্তায় হুমকি আসে এমন যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারি।

‘ইউক্রেন নিয়ে পুতিনের স্বপ্ন অবশ্যই ভেস্তে যাবে এবং তাই হবে। এ জন্য পশ্চিমা জোটকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শান্তিপ্রিয় ইউক্রেনীয়দের পাশে আমাদের থাকা উচিত।’

রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞাকে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে জানিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ ভয়াবহ যদি কিছু ঘটে তবে ইউরোপের ৪৪ মিলিয়ন নাগরিক কোনো কারণ ছাড়াই যুদ্ধের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।

‘পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে কূটনীতির মাধ্যমে সংঘাত এড়াতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি এবং অন্য মিত্রদের সব চেষ্টা বৃথা যেতে পারে। তবে আমি মনে করি শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংকট সমাধানের সুযোগ এখনও আছে।’

যুক্তরাজ্যের বিরোধী দলের নেতারাও ইউক্রেনের পাশে থাকার পক্ষে মত দিয়েছেন।

লেবার পার্টির নেতা কেয়ার স্টারমার বলেন, ‘ইউক্রেনের সমর্থনে আমাদের শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। এই অযৌক্তিক রুশ আগ্রাসন ঠেকাতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। পুতিনকে দেখাতে হবে ইউরোপ বিভক্ত নয়।’

জনসনের অবস্থানকে সমর্থন করেছেন তার পূর্বসূরি টেরিজা মে-ও। বলেছেন, ‘এটা গণতন্ত্র রক্ষার যুদ্ধ।’

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্রিটেনের এই পদক্ষেপের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি ক্রেমলিন।

এ বিভাগের আরো খবর