পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বহুমুখী চাপ ও সংসারের অশান্তির বিষয়গুলো এখন আর অজানা নেই। পার্লামেন্টে যেমন পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির পক্ষ থেকে আর সংসারে তার তৃতীয় স্ত্রী বুশরা বিবির সঙ্গে সাংসারিক চাপ মোকাবিলা করতে হচ্ছে তাকে।
এমন পরিস্থিতিতে স্ত্রী বুশরা বিবিকে নিয়ে নতুন এক বিপাকে পড়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
যখন ইমরান খানের বিয়ে ভেঙে যাওয়া নিয়ে জল্পনা-কল্পনা তুঙ্গে, ঠিক সে সময় বুশরা বিবির আগের ঘরের ছেলে মুহাম্মদ মুসা মানেকা মদের মামলায় জড়িয়ে পড়েছেন। পাকিস্তানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা।
দেশটির সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবির ছোট ছেলেসহ তার এক আত্মীয় ও এক বন্ধুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।
পুলিশি অভিযোগে বলা হয়েছে, তাদের গাড়ির ভেতরে মদ ছিল। তাদের আটকের সময় মুহাম্মদ মুসা মানেকা ছাড়াও তার সঙ্গে ছিলেন আত্মীয় মুহাম্মদ আহমেদ মানেকা (নওয়াজ শরিফের দলের এমপি) এবং বন্ধু আহমেদ শাহরিয়ার।
পুলিশের চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় তারা মদসহ ধরা পড়েন। হাসপাতালে ডাক্তারি তদন্তে শাহরিয়ারের মদ্যপানের বিষয়টি জানা গেছে। পরে মানেকা পরিবারের দেয়া ব্যক্তিগত নিশ্চয়তার ভিত্তিতে মুসা ও আহমেদকে ছেড়ে দেয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে দুজনের কেউ ধরা পড়ার সময় মদ্যপ ছিলেন না। শুধু বন্ধু শাহরিয়ার ছিলেন মদ্যপ। পরবর্তী সময়ে শাহরিয়ারকে আদালত থেকে জামিন নিতে হয়।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পার্লামেন্টের পাশাপাশি ইদানীং ঘরেও চাপের মধ্যে রয়েছেন। তৃতীয় স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না ইমরান খানের। এমন কথা শোনা যায়, ইমরান খানের ইসলামাবাদের প্রাসাদঘর ছেড়ে লাহোরে চলে গেছেন বুশরা খান।
এমনটা শোনা যায়, তিনি তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী সানিয়া শাহের সঙ্গে লাহোরে বসবাস করছেন। বুশরা বিবি চলে যাওয়ার পর ইমরান বাড়ির সব কর্মীকেও বদল করেছেন।
এমনও শোনা যাচ্ছে, ইমরান খান ও বুশরা বিবি আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদের ঘোষণা দিতে পারেন।
এদিকে সংসারের পাশাপাশি পার্লামেন্টেও ইমরান চাপের মধ্যে রয়েছেন। পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি অ্যালায়েন্স সংসদে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিরোধী দলগুলোর প্রধান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিকে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বসানোর চেষ্টা করছে বিরোধী দলগুলো।