বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউক্রেন সংকটে জ্বালানি তেলের দাম ৭ বছরে সর্বোচ্চ

  •    
  • ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৬:৩১

ফাইডেলিটি ইন্টারন্যাশনালের বিনিয়োগ পরিচালক মাইক কুরি জানান, প্রতি ব্যারেল জ্বালিন তেলের দাম ১০০ ডলারও ছাড়িয়ে যেতে পারে।

ইউক্রেইন-রাশিয়া নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে সরবরাহে সংকট তৈরির আশঙ্কায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল রেকর্ড হারে।

মঙ্গলবার ফিউচার মার্কেটে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেল ব্রেন্ট ক্রুডের দাম সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৮ মার্কিন ডলার উঠেছে বলে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

জ্বালানির দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৈশ্বিক শেয়ারবাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

ফাইডেলিটি ইন্টারন্যাশনালের বিনিয়োগ পরিচালক মাইক কুরি জানান, প্রতি ব্যারেল জ্বালিন তেলের দাম ১০০ ডলারও ছাড়িয়ে যেতে পারে।

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে এখন শীত হওয়ায় জ্বালানির চাহিদা বেশি। পর্যাপ্ত বিনিয়োগের অভাবে সংকট রয়েছে তেল-গাস সরবরাহে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ইউক্রেইন-রাশিয়ার সংকট।’

ইউক্রেন-রাশিয়া সংকট জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ম্যানুলাইফ ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্টের সু ট্রিন। তিনি জানান, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিতে পারে।

গত কয়েকদিন ধরে ইউক্রেন ও রাশিয়া নিয়ে চলছে টানটান উত্তেজনা। ইউক্রেন সীমান্তে সেনা মোতায়েন করে রেখেছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দ যে কোনো সময় ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার আশঙ্কা করছে।

এমন পরিস্থিতিতে উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পূর্ব ইউক্রেনের মস্কোপন্থি বিদ্রোহীদের আবেদনে সাড়া দিয়ে দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়েছেন। পাশাপাশি অঞ্চল দুটিতে রুশসেনা মোতায়েনের কথা জানিয়েছেন তিনি।

ইউক্রেনে হামলা চালালে রাশিয়ার ওপর অবরোধের হুমকি দিয়েছে যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা বিশ্ব। এমন প্রেক্ষাপটে দাম বাড়ল জ্বালানি তেলের। এর প্রধান কারণ হলো সৌদি আরবের পরই দ্বিতীয় দেশ হিসেবে সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেল রপ্তানি করে রাশিয়া। প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানিতেও দেশটির অবস্থান শীর্ষে।

কয়েকদিন ধরে ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্তে যে উত্তেজনা চলছে তার শুরুটা বেশ আগে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার পর ইউক্রেনের জন্ম। রাশিয়া ইউক্রেনকে সব সময় পশ্চিমা বলয় থেকে মুক্ত রাখতে মরিয়া। প্রতিবেশী বেলারুশও মস্কোপন্থি। পূর্ব ইউরোপে রাশিয়ার আধিপত্য একচ্ছত্র।

এ অবস্থায় সামরিক সক্ষমতা দেখাতে সম্প্রতি বড় পরিসরে সেনা মহড়া শুরু করে পশ্চিমাদের সামরিক জোট-ন্যাটো। ইউক্রেনকে জোটে ভেড়াতে চেষ্টা চালাচ্ছে জোর। আর এখানেই আপত্তি রাশিয়ার। তাদের দাবি, ন্যাটো জোটে ইউক্রেনের যোগ দেয়া রাশিয়ার সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। এ ছাড়া সীমান্তে ন্যাটোর সামরিক মহড়ায় উদ্বিগ্ন মস্কো।

এমন পরিস্থিতিতে পাল্টা ব্যবস্থা নেয় রাশিয়া। সীমান্তে সেনা মোতায়েন শুরু করে তারা। ক্রেমলিন জানায়, ইউক্রেনকে ন্যাটোভুক্ত করার পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হবে পশ্চিমাদের।

এ বিভাগের আরো খবর