মহাকাশ গবেষণায় সুখবর দিলেন বিজ্ঞানীরা। তারা জানিয়েছেন, প্রথমবারের মতো তিন চাঁদ বা স্যাটেলাইট আছে এমন গ্রহাণুর সন্ধান পাওয়া গেছে। মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝে থাকা গ্রহাণুপুঞ্জে এর অবস্থান। ২৬০ কিলোমিটার ব্যাসের গ্রহাণুটির নাম ১৩০ ইলেকট্রা, সংক্ষেপে ইলেকট্রা।
ন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ থাইল্যান্ডের জ্যোতির্বিজ্ঞানী অ্যান্থনি বারডু ও তার দলের একটি গবেষণাপত্র সম্প্রতি প্রকাশ হয়েছে দি অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্সে। সেখানে তিন চাঁদের এই গ্রহাণুর কথা বলা হয়েছে।
ইলেকট্রা গ্রহাণু আবিষ্কার হয় ১৮৭৩ সালে। এর প্রথম চাঁদের সন্ধান মেলে ইলেকট্রা আবিষ্কারের ১৩০ বছর পর, ২০০৩ সালে; দ্বিতীয়টি ২০১৪ সালে।
সায়েন্স অ্যালার্টের খবরে বলা হয়েছে, নতুন চাঁদের সন্ধানে বারডুর দল ইউরোপিয়ান সাউদার্ন অবজারভেটরির সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপের সাহায্য নিয়েছে। টেলিস্কোপের স্পেস শেয়ার থেকে তথ্য নেন বিজ্ঞানীরা। তারপর সেসব থেকে অপ্রয়োজনীয় উপাদান (নয়েজ) একটি যন্ত্রের সাহায্যে আলাদা করেন।
এই প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৪ সালে। পর্যবেক্ষণ চলে টানা সাত বছর। এই সময়ের মধ্যে ২২ দিনে বিজ্ঞানীরা নতুন চাঁদটিকে দেখেছেন ১২০ বার।
বিজ্ঞানীরা নতুন চাঁদের নাম রেখেছেন আগের দুটির সঙ্গে মিলিয়ে। তৃতীয়টির নাম দেয়া হয়েছে এস/২০১৪ (১৩০) ২। প্রথম আবিষ্কৃত চাঁদটির নাম এস/২০০৩ (১৩০) ১ এবং দ্বিতীয়টির নাম এস/২০১৪ (১৩০) ১।
এস/২০০৩ (১৩০) ১-এর ব্যাস ছয় কিলোমিটার। প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে এটি ইলেকট্রাকে প্রদক্ষিণ করছে। আর এস/২০১৪ (১৩০) ১ দুই কিলোমিটার ব্যাসের। এটির কক্ষপথের গড় দূরত্ব ৫০০ কিলোমিটার।
নতুন আবিষ্কৃত চাঁদ এস/২০১৪ (১৩০) ২-এর ব্যাস ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার। কক্ষপথের গড় দূরত্ব ৩৪০ কিলোমিটার।
মহাকাশে এ পর্যন্ত ১১ লাখের বেশি গ্রহাণুর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এগুলোর মধ্যে ১৫০টির বেশির আছে অন্তত একটি করে চাঁদ।