ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা মোতায়েন নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব ও রাশিয়া মুখোমুখি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলছেন, যেকোনো সময় হামলা শুরু করবে রাশিয়া। ঠিক সেই মুহূর্তেই ইউক্রেন তার দেশের সেনা নিহতের ঘটনা জানাল।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, মস্কো মদতপুষ্ট বিদ্রোহীদের নিক্ষিপ্ত গোলায় দেশটির একজন সেনা নিহত হয়েছেন।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় বিদ্রোহীরা ২০টি স্থাপনায় ৬৬ বার গোলা নিক্ষেপ করেছে, যা মিনস্ক চুক্তির লঙ্ঘন।
গত কয়েক বছরের মধ্যে ৪৮ ঘণ্টায় ইউক্রেনের বাহিনী ও মস্কো মদতপুষ্ট বিদ্রোহীদের সর্বোচ্চ গোলা বিনিময় হয়েছে। সরকারি বাহিনীর হামলার আশঙ্কায় বিদ্রোহীরা তাদের অঞ্চলের রুশ ভাষাভাষী নাগরিকদের ইউক্রেন ত্যাগ করে পূর্ব রাশিয়ায় চলে যেতে বলেছে।
বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রায় সাত লাখ মানুষকে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা আছে তাদের। যদিও ইউক্রেন দাবি করেছে, এরা রাশিয়ার নাগরিক, এ ছাড়া তাদের বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চলে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই।
এমন মুহূর্তে ন্যাটো সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে দেশ ছেড়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব ধারণা করছে, রাশিয়া হামলার ইস্যু তৈরির চেষ্টা করছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, রাশিয়া সীমান্তে ১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে। যদিও গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংখ্যাটি ১ লাখ ৯০ হাজার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটিই ইউরোপে সবচেয়ে বড় সেনা মোতায়েনের ঘটনা। এদিকে ইউক্রেন সীমান্তের কাছাকাছি ৫০০ কিলোমিটার রেঞ্জের ইস্কান্দার ব্যালাস্টিক মিসাইল নিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। ধারণা করা হচ্ছে, কিয়েভ হামলার জন্য এই মিসাইল নেয়া হচ্ছে।
এর আগে ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপত্যকা দখলে নেয় রাশিয়া। শুরু হয় ইউক্রেন সেনাবাহিনীর সঙ্গে মস্কো মদতপুষ্ট বিদ্রোহীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এতে কমপক্ষে ১৪ হাজার মানুষ নিহত হন।