বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার পরমাণু অস্ত্র মহড়ার তদারকি করবেন পুতিন

  •    
  • ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২২:২৮

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘শনিবারের মহড়া নিয়ে রাশিয়া খুবই স্বচ্ছ অবস্থানে রয়েছে। এতে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।’

ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমাদের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই বড় ধরনের পারমাণবিক মহড়ার আয়োজন করতে যাচ্ছে রাশিয়া। শনিবারের এই মহড়ায় একাধিক আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার অনুশীলন করা হবে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজে এই সামরিক মহড়া তদারকি করবেন বলে জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মহড়ায় কৌশলগত বাহিনী অংশ নেবে। সেই সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলীয় সামরিক জেলার ইউনিট, বিমান বাহিনী এবং উত্তরাঞ্চল ও কৃষ্ণসাগরের নৌবহর মহড়ায় অনুশীলন করবে।

এদিকে মস্কোতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠককালে বেলারুশের নেতা আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো জানান, শনিবারের মহড়ায় তিনিও থাকবেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সতর্ক করে বলেন, যেকোনো দিন রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে।

পশ্চিমাদের আশঙ্কা, সীমান্তে প্রায় দেড় লাখ সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া, যা তাদের মোট পদাতিক বাহিনীর ৬০ শতাংশ।

তবে শুরু থেকেই ক্রেমলিন দাবি করে আসছে, ইউক্রেন আক্রমণে তাদের কোনো পরিকল্পনা নেই।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘শনিবারের মহড়া নিয়ে রাশিয়া খুবই স্বচ্ছ অবস্থানে রয়েছে। এতে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।’

তিনি জানান, পুতিনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। একটি সিচুয়েশন সেন্টার থেকে মহড়ায় অংশ নেবেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করে রাশিয়া। গত ১০ ফেব্রুয়ারি মিত্র দেশ বেলারুশকে সঙ্গে নিয়ে ইউক্রেন সীমান্তে সামরিক মহড়া শুরু করে রাশিয়া। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি এই মহড়া শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

তবে এই চলমান মহড়ার মধ্যেই ইউক্রেন সীমান্ত থেকে রাশিয়া কিছু সেনাকে ঘাঁটিতে ফিরিয়ে নিয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করে। কিন্তু ন্যাটোর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, ইউক্রেন সীমান্তে সেনা সংখ্যা আরও বাড়াচ্ছে রাশিয়া।

সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার পর ইউক্রেনের জন্ম। রাশিয়া ইউক্রেনকে সব সময় পশ্চিমা বলয় থেকে মুক্ত রাখতে মরিয়া। প্রতিবেশী বেলারুশও মস্কোপন্থি। পূর্ব ইউরোপে রাশিয়ার আধিপত্য একচ্ছত্র।

এই অবস্থায় সামরিক সক্ষমতা দেখাতে সম্প্রতি সামরিক মহড়া বড় পরিসরে শুরু করে ন্যাটো। ইউক্রেনকে জোটে ভেড়াতে চেষ্টা চালাচ্ছে জোর। আর এখানেই আপত্তি রাশিয়ার। তাদের দাবি, ন্যাটো জোটে ইউক্রেনের যোগ দেয়া রাশিয়ার সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি।

এমন পরিস্থিতিতে পাল্টা ব্যবস্থা নেয় রাশিয়া। সীমান্তে সেনা মোতায়েন শুরু করে তারা। ক্রেমলিন জানায়, ইউক্রেনকে ন্যাটোভুক্ত করার পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হবে পশ্চিমাদের।

এ বিভাগের আরো খবর