বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিদ্রোহীদের গোলা নিক্ষেপ বড় ধরনের উসকানি: ইউক্রেন

  •    
  • ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০৯:৩০

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি একটি ডে-কেয়ার সেন্টারে বিদ্রোহীদের গোলা নিক্ষেপের ঘটনাকে বড় ধরনের উসকানি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট অভিযোগ করেছে, সামনের দিনগুলোতে ইউক্রেনে হামলার জন্য অজুহাত খুঁজছে রাশিয়া।

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মদদপুষ্ট বিদ্রোহীরা একে অপরের বিরুদ্ধে গোলা নিক্ষেপের অভিযোগ করেছে। ইউক্রেনের দাবি তারাই প্রথম হামলার শিকার হয়েছে। যদিও বিদ্রোহীরা বলছে ইউক্রেন সেনারাই হামলা চালিয়েছে তাদের এলাকায়।

বিদ্রোহীদের অভিযোগ, ইউক্রেনের সরকারি সেনারা তাদের ওপর সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪ বার হামলা চালিয়েছে।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, বিদ্রোহীদের ওপর হামলায় রাশিয়া গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি একটি ডে-কেয়ার সেন্টারে বিদ্রোহীদের গোলা নিক্ষেপের ঘটনাকে বড় ধরনের উসকানি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট অভিযোগ করেছে, সামনের দিনগুলোতে ইউক্রেনে হামলার জন্য অজুহাত খুঁজছে রাশিয়া।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন সামরিক হামলা আসন্ন কিন্তু এখনও কূটনৈতিক সমাধান সম্ভব।

তবে সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন ও একের পর এক সামরিক মহড়া চালানোর পরেও রাশিয়া বলছে যুক্তরাষ্ট্রের এ অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ এবং উত্তেজনা ছড়াতে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোকেই দায়ী করছে দেশটি।

চলমান সংকটের শুরু থেকেই রাশিয়া বলে আসছে, ইউক্রেনে হামলার কোনো লক্ষ্য নেই তাদের। সম্প্রতি মস্কো দাবি করেছে তারা তাদের সেনাদের ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সরিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু ন্যাটো বলছে ইউক্রেন সীমান্তে সেনা বাড়াচ্ছে দেশটি।

ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল স্টোলেনবার্গ জানিয়েছেন, ‘আমরা যা দেখছি, তা হলো ইউক্রেন সীমান্তে সেনাসংখ্যা বাড়াচ্ছে রাশিয়া। এ ছাড়া আরও সেনাদের নিয়ে আসা হচ্ছে। কোনো ধরনের সেনা প্রত্যাহার হচ্ছে না।’

এদিকে বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের বাইরে এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, আমাদের বিশ্বাস করার কারণ আছে যে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ (ফলস ফ্লাগ অপারেশন) এনে আক্রমণ শুরু করতে পারে।

ফলস ফ্লাগ অপারেশন হলো কোনো দেশ বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে তাদের ওপর হামলা করার যৌক্তিক কারণ তুলে ধরার চেষ্টা করা।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেনও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনেছেন।

তিনি বলেন, ‘আক্রমণের অজুহাত কী হতে পারে তা স্পষ্ট নয়, তবে রাশিয়া যা দেখাতে পারে তা হল, বানোয়াট ও তথাকথিত সন্ত্রাসী বোমা হামলা, ইউক্রেনীয় রুশদের গণককবরের সন্ধান, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ড্রোন হামলা, এমনকি ইউক্রেন রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে আক্রমণ।’

যদিও যুক্তরাষ্ট্র তার দাবির সপক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি।

ইউক্রেন ইস্যুতে সম্প্রতি দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার উত্তেজনা বাড়ছে। ন্যাটো যেমন পূর্ব ইউরোপে সেনাসংখ্যা বাড়াচ্ছে, রাশিয়াও তেমনি ইউক্রেন সীমান্তে সেনাসংখ্যা বাড়িয়েই চলছে।

এর আগে ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপত্যকা দখলে নেয় রাশিয়া। শুরু হয় ইউক্রেন সেনাবাহিনীর সঙ্গে মস্কো মদদপুষ্ট ইউক্রেনীয় বিদ্রোহীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। এতে কমপক্ষে ১৪ হাজার মানুষ নিহত হন। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান অন্তত ২০ লাখ নাগরিক।

এ বিভাগের আরো খবর