ভারতের মুম্বাইয়ের পবনহংস শ্মশানে শেষ হয়েছে বাপ্পী লাহিড়ীর শেষকৃত্য। চোখের জলে প্রিয় তারকাকে বিদায় জানিয়েছেন অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগী। টুইটে অনেকেই মন্থন করেছেন স্মৃতি।
বাবার মরদেহ কাঁধে দেখা গেছে তার ছেলে বাপ্পা লাহিড়ীকে। এ সময় মেয়ে রোমা লাহিড়ীকে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। বাকিদের চেহারায় ছিল বিষাদের ছাপ।
জুহোর বাসভবন থেকে বৃহস্পতিবার সকালে পবনহংস শ্মশানের উদ্দেশে যাত্রা হয় লাহিড়ীর।
ভারতের মুম্বাইয়ের ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালে মঙ্গলবার রাতে মৃত্যু হয় বিখ্যাত শিল্পী ও সুরকার বাপ্পী লাহিড়ীর। আমেরিকা প্রবাসী ছেলে বাপ্পার অপেক্ষায় বুধবার মরদেহ বাসায় ছিল। সেখানে তাকে শ্রদ্ধা জানান অগণিত অনুরাগী, বিশিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার ভোরে সস্ত্রীক দেশে ফেরেন বাপ্পা। তার পরেই শেষযাত্রা শুরু।
শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন রানি মুখার্জি, বিদ্যা বালান, শক্তি কাপুর, রূপালি গাঙ্গুলি, বিন্দু দারা সিং-এর মতো তারকারা। ছিলেন গায়ক অভিজিৎ, অলকা ইয়াগ্নি, ইলা অরুন, মিকা সিং এবং টি–সিরিজের ভূষণ কুমার।
- আরও পড়ুন: কিংবদন্তি শিল্পী লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাপ্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানান অভিনেতা অনুপম খের, প্রীতি জিনতা, রিতেশ তিওয়ারি। সংবাদমাধ্যমে শোক জানিয়েছেন আশা ভোঁসলে। জানিয়েছেন, দেখা করতে চেয়েছিলেন বাপ্পীর সঙ্গে। কিন্তু করোনার কারণে তা আর হয়ে ওঠেনি।
পুরোহিতদের মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যেই মুখাগ্নি করেন ছেলে বাপ্পা। জ্বলে ওঠে চিতা। আর এভাবেই অসীমে বিলীন হয়ে গেল সুরকারের নশ্বর দেহ।
- আরও পড়ুন: নিভে গেল বাংলা গানের সন্ধ্যা ‘প্রদীপও’
ভারতের মুম্বাইয়ের ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালে মঙ্গলবার রাতে ৬৯ বছরে মৃত্যু হয় বিখ্যাত শিল্পী ও সুরকার বাপ্পী লাহিড়ীর।
মৃত্যুর আগে এক মাস ধরে হাসপাতালটিতে ভর্তি ছিলেন এ শিল্পী। হাসপাতালে তার বেশ কিছু রোগের চিকিৎসা চলছিল বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া (পিটিআই)।
ক্রিটিকেয়ারের পরিচালক দীপক নামযোশী জানান, এক মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন লাহিড়ী। সোমবার তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছিল। তবে মঙ্গলবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বাসায় ডাক্তার ডাকা হয়। পরে তাকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মধ্যরাতের কিছু আগে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ায় (ওএসএ) তার মৃত্যু হয়।