বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার মেটাভার্সে ডিজনি

  •    
  • ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৪:২৬

ডিজনির প্রধান নির্বাহী চ্যাপেক মেটাভার্সকে ‘গল্প বলার সময় দর্শকের আগ্রহ ধরে রাখার জন্য যে কৌশলগুলো অনুসরণ করে উপস্থাপন করার জন্য নিখুঁত জায়গা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

মেটাভার্সের জগতে প্রভাব বিস্তার করতে আগেভাগেই কার্যক্রম শুরু করেছে বিনোদন জগতের অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান ডিজনি। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি মেটাভার্স জগতে তাদের হয়ে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য একজন নির্বাহী নিয়োগ দিয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সদ্য ডিজনির মেটাভার্স প্রকল্পে নির্বাহী হিসেবে নিয়োগ পাওয়া মাইক হোয়াইট ডিজনিতে প্রায় ১০ বছর ধরে কাজ করছেন। এবার তিনি প্রতিষ্ঠানটির হয়ে এ-সংক্রান্ত সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাজ করবেন। মাইক হবেন ডিজনির নেক্সট জেনারেশন স্টোরি টেলিং ও কনজিউমার এক্সপেরিয়েন্সের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট।

এখন থেকে তিনি ডিজনির মেটাভার্সে বরাদ্দ সম্পদ দেখভাল, নতুন ব্যাবসায়িক অংশীদার খুঁজে বের করা এবং মেটাভার্সসংক্রান্ত জ্ঞান কর্মীদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়ার বিষয়গুলো দেখভাল করবেন।

মেটাভার্স নিয়ে বেশ আশাবাদী ডিজনির প্রধান নির্বাহী বব চেপেক। তিনি বিবিসিকে বলেন, এবার ডিজনি গল্প বলার জন্য নতুন সীমান্ত খুঁজে বেড়াবে।

শুধু ডিজনিই নয়। ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা এবং মাইক্রোসফটসহ অনেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে মেটাভার্সে।

মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ তার প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের মধ্যে মেটাভার্সে পরিণত করতে চায়। এ ছাড়া বিশ্বের অন্যতম বড় ব্যাটল রয়েল গেম ‘ফোর্টনাইট’ ইতোমধ্যে মেটাভার্স প্রতিষ্ঠান হয়ে গেছে।

ডিজনির প্রধান নির্বাহী চ্যাপেক মেটাভার্সকে ‘গল্প বলার সময় দর্শকের আগ্রহ ধরে রাখার জন্য যে কৌশলগুলো অনুসরণ করে উপস্থাপন করার জন্য নিখুঁত জায়গা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

ডিজনি মনে করছে, ১০০ বছর ধরে সিনেমার পর্দায় যেভাবে গল্প বলা হচ্ছে, তার পরবর্তী বিবর্তনই মেটাভার্স।

অনলাইন কার্যক্রমে ডিজনি ইতোমধ্যে তার সেরা সময় কাটাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সালের শেষ তিন মাসেই অনলাইন স্ট্রিমিংয়ে ১ কোটি ১৮ লাখ গ্রাহক যুক্ত করেছে।

বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি খাতে এখন সবচেয়ে আলোচিত শব্দ ‘মেটাভার্স’।

মেটাভার্স একটি ভার্চুয়াল বিশ্ব, যেখানে যন্ত্রের মাধ্যমে নিজেকে যুক্ত করে, অন্তত তাত্ত্বিকভাবে যেকোনো কাজই করতে পারবেন একজন ব্যক্তি।

দ্য ম্যাট্রিক্স, রেডি প্লেয়ার ওয়ান ও ট্রনের মতো বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্রগুলোতে এমন ভার্চুয়াল বিশ্বের সঙ্গে পরিচিত হয়েছে মানুষ।

জাকারবার্গের মতে, মেটাভার্সের মাধ্যমে যোগাযোগ, উদ্ভাবনসহ সব ধরনের কাজ করতে পারবে মানুষ। আগামী কয়েক দশকের মধ্যে ১০০ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছাবে এ প্রযুক্তি।

বলা হচ্ছে, মেটাভার্সের সৃষ্ট ভার্চুয়াল বিশ্বের কোনো সীমা-পরিসীমা থাকবে না। এটা এমন এক ‘ভার্চুয়াল পরিবেশ’ যেখানে শুধু স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে না থেকে আপনি তার ভেতরে ঢুকে চলে যেতে পারবেন যেকোনো স্থানে।

ভিআর হেডসেট, এআর চশমা, প্রযুক্তি যুক্ত রিস্টব্যান্ড, স্মার্টফোন অ্যাপসহ আরও অনেক ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে বৈঠক-আড্ডা, খেলাধুলা, কর্মস্থল যেকোনো জায়গায় যোগ দিতে পারবেন আপনি।

এমনকি কেনাকাটা, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংসহ অনলাইনভিত্তিক আমাদের বর্তমান কর্মকাণ্ডও আসবে মেটাভার্সের আওতায়। বাদ থাকবে না কনসার্টে যোগ দেয়া, বেড়াতে যাওয়া, ডিজিটাল পোশাকের ট্রায়ালসহ কোনো কিছুই।

এ বিভাগের আরো খবর