বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রুশ সেনা প্রত্যাহারেও অনিরাপদ ইউক্রেন

  •    
  • ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২১:০৬

ক্রেমলিন বলছে, ফিরিয়ে আনা সেনাদের পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলে সামরিক ঘাঁটিতে রাখা হবে। এই দুটি অঞ্চল ইউক্রেনঘেঁষা হওয়ায়, প্রয়োজনে সহজেই আবারও সেনাদের পাঠানো যাবে। স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যায়, রাশিয়ার সেনাবাহিনীর অত্যাধুনিক ইউনিটগুলো এখনও ইউক্রেন ঘিরে রেখেছে।

ইউক্রেন ঘিরে রাখা সেনাদের সরিয়ে নেয়ার আরেকটি ভিডিও প্রকাশ করেছে রাশিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার ক্রিমিয়া উপত্যকতা থেকে সেনা সরিয়ে ভিডিও প্রকাশ করে।

তবে এই সেনাদের এমন জায়গায় রাখা হচ্ছে, যেখান থেকে সহজেই ইউক্রেনে হামলা চালানো সম্ভব। এ কারণে রুশ সেনা প্রত্যাহারে আস্থা রাখতে পারছেন না পশ্চিমা দেশগুলো।

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ইউক্রেনকে পশ্চিমা বলয় থেকে মুক্ত রাখতে চায় পূর্ব ইউরোপে একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রাখা রাশিয়া।

আর যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাবিশ্ব চাইছে এই আধিপত্য ভেঙে দিতে। তাই তারা রাশিয়ার ঘরের কাছের ইউক্রেনকে ন্যাটোর অংশ করতে মরিয়া। ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যুক্ত করতে পারলে, সেখানে সামরিক ঘাঁটি গড়তে পারবে পশ্চিমা শক্তি।

সমর বিশ্লেষকেরা বলছেন, কোনো কারণে রাশিয়ার সঙ্গে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর লড়াই বাঁধলে, ইউক্রেনের ভৌগলিক সহায়তা পেতে চায় পশ্চিমা বিশ্ব। পোল্যান্ড, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া ও লিথুনিয়ায় ন্যাটো অবস্থান থেকে ক্রেমলিন আগেই এ ধারণা পেয়েছে। তাই সীমান্তঘেঁষা ইউক্রেনে ন্যাটোতে ঢুকতে না দেয়ার বিষয়ে অনড় মস্কো।

আমেরিকার সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডনান্ড ট্রাম্পের সময় থেকেই দেশটির প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধ চরমে। আমেরিকার গোয়েন্দাদের দাবি, ট্রাম্পকে ক্ষমতায় আনার পেছনে মূল কারিগর ক্রেমলিন।

২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন ক্ষমতায় এসেই পূর্ব ইউরোপে নজর দেন। রাশিয়ার আশপাশের ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো সাম্প্রতি সামরিক মহড়াও শুরু করে জোরেশোরে। ইউক্রেনকে দলে ভেড়াতেও চলছে জোর তৎপরতা। এতে সম্মতি আছে ইউক্রেনেরও।

এ অবস্থায় সম্প্রতি ইউক্রেনকে তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলে অন্তত এক লাখ রুশ সেনা। মস্কো জানায়, ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগ দেয়া তাদের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি।

রাশিয়ার এমন পদক্ষেপে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে বিশ্বজুড়ে। তবে শুরু থেকে মস্কো জানিয়ে আসছে, ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর কোনো পরিকল্পনা নেই তাদের।

পরিস্থিতি বিবেচনায় রাশিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনায় জোর দেয় ইউরোপ-আমেরিকা। এই অবস্থার মধ্যেই বেলারুশে আরও ৩০ হাজার সেনা পাঠান পুতিন। শুরু করেন ১০ দিনের সামরিক মহড়া।

সংঘাতের আশঙ্কায় ইউক্রেন থেকে কূটনীতিক ও নাগরিকদের সরিয়ে নেয় অনেক দেশ। ন্যাটোও অঞ্চলে বাড়াতে থাকে সামরিক উপস্থিতি।

এমন পরিস্থিতে মঙ্গলবার সীমান্ত থেকে কিছুসংখ্যক সেনা সরিয়ে নেয়ার ভিডিও প্রকাশ করে মস্কো। তবে ইউক্রেনসহ পশ্চিমাবিশ্ব এটি বিশ্বাস করেনি।

এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও একটি ভিডিও প্রকাশ করে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে দেখা যায়, ক্রিমিয়া সেনা ফিরিয়ে নিচ্ছে মস্কো।

আট বছর আগে ২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে ক্রিমিয়া দখলে নেয় মস্কো। সম্প্রতি সেখানে তারা সামরিক মহড়া চালাচ্ছিল।

ক্রেমলিন জানায়, ফিরিয়ে আনা সেনাদের পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলে সামরিক ঘাঁটিতে রাখা হবে। এই দুটি অঞ্চল ইউক্রেনঘেঁষা হওয়ায়, প্রয়োজনে সহজেই আবারও সেনাদের পাঠানো যাবে।

স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যায়, রাশিয়ার সেনাবাহিনীর অত্যাধুনিক ইউনিটগুলো এখনও ইউক্রেন ঘিরে রেখেছে।

সমর বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘ পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চল থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনা সরিয়ে নেয়া হলেও, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও ক্রিমিয়ায় বড় ধরণের আগ্রাসন চালানোর জন্য উত্তরাঞ্চলে যথেষ্ট সেনা মোতায়েন আছে। সেখানে বিপুল সেনার পাশাপাশি অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র রাখা আছে।

এ ছাড়া কৃষ্ণ ও আজভ সাগরে পর্যাপ্ত রুশ নৌ সেনা মোতায়েন আছে। তারা সহজেই ইউক্রেন উপকূলের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম। পাশাপাশি স্থল অভিযানের জন্য ২ হাজার রুশ সেনা ২০০ ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া যান নিয়ে প্রস্তুত আছে।

এ বিভাগের আরো খবর