বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাশিয়ার হামলা ‘এখনও খুবই সম্ভব’: বাইডেন

  •    
  • ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০৯:২৮

জার্মান চ্যান্সেলরের মস্কো সফরে তৈরি হওয়া শান্তিপূর্ণ অগ্রগতি সন্তুষ্ট করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে। তিনি বলেন, ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলা ‘এখনও খুবই সম্ভব’ এবং মানবিক ক্ষয়ক্ষতি হবে অত্যন্ত ব্যাপক।

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের মস্কো সফরের পরই কমে এসেছে ইউক্রেন-রাশিয়ার চলমান উত্তেজনা। প্রেসিডেন্ট পুতিন সংকট নিরসনে কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যেতে রাজি হয়েছেন। এরই মধ্যে রাশিয়ার পক্ষ থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে দেখা গেছে ইউক্রেন সীমান্ত অঞ্চল থেকে ভারী অস্ত্রশস্ত্র সরিয়ে নিচ্ছে দেশটির সেনারা।

কিন্তু পরিস্থিতির এই শান্তিপূর্ণ অগ্রগতি সন্তুষ্ট করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে। তিনি বলেন, ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলা ‘এখনও খুবই সম্ভব’ এবং মানবিক ক্ষয়ক্ষতি হবে অত্যন্ত ব্যাপক।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় টেলিভিশনে দেয়া একটি মন্তব্যে বাইডেন বলেন, রাশিয়ার এ ধরনের (ইউক্রেনে হামলা) পদক্ষেপের ক্ষেত্রে যথাযথ প্রতিক্রিয়া দেখাতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, এখনও রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দেড় লাখ সেনা মোতায়েন করে রেখেছে।

যদিও রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, কিছু বাহিনীকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। জবাবে বাইডেন বলেছেন, ‘(রুশ সেনাদের চলে যাওয়া) ভালো হবে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তা এখনও যাচাই করা হয়নি।’

বাইডেন বলেন ‘প্রকৃতপক্ষে, আমাদের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনও হুমকি রয়েছে।’

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পুতিন মস্কোর নিরাপত্তা উদ্বেগকে গুরুত্ব দেয়া উচিত বলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাইডেনের পক্ষ থেকে এ বক্তব্য এলো।

যদিও ইউক্রেন সীমান্তে সেনা মোতায়েন ও একের পর এক সামরিক মহড়া চালালেও রাশিয়া চলমান সংকটের শুরু থেকেই বলে আসছে, ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই দেশটির।

প্রেসিডেন্ট পুতিন বরাবরই বলে আসছেন, সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। তিনি নিশ্চয়তা চান, দেশটি যাতে কখনোই পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগদান না করে।

যদিও ন্যাটো জোট বরাবরই রাশিয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছে।

এদিকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানিয়েছেন, কূটনৈতিক সমাধানে আসার জন্য রাশিয়ার একটি প্রস্তাবে তিনি একমত হয়েছেন।

ন্যাটো মঙ্গলবার রাশিয়ার সামরিক বাহিনী প্রত্যাহারের ঘোষণার বিষয়ে ‘সতর্ক আশাবাদ’ ব্যক্ত করেছে। তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভকে ফোনে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই যাচাইযোগ্য, বিশ্বাসযোগ্য ও অর্থপূর্ণ সেনা প্রত্যাহার দেখতে হবে।

এর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন টুইট করেছিলেন যে রাশিয়া থেকে ‘মিশ্র সংকেত’ আসছে, কারণ যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা দেখিয়েছে যে রাশিয়ান ফিল্ড হাসপাতালগুলো ইউক্রেন সীমান্তের কাছেই তৈরি করা হচ্ছে, যা ‘কেবল হামলার প্রস্তুতি হিসেবে ধরা যেতে পারে।’

এ বিভাগের আরো খবর