চলমান যৌথ সামরিক মহড়ার মধ্যেই ইউক্রেন সীমান্ত থেকে কিছু সেনা সরিয়ে নিচ্ছে রাশিয়া।
রাশিয়ার দাবি, কয়েক মাস ধরে চলা অচলাবস্থায় বিজয় দাবি করেছে তার কূটনীতিকরা। ফলে তারা সেনা ফিরিয়ে নিচ্ছে।
রাশিয়া যেকোনো সময় ইউক্রেনে আক্রমণ করতে পারে বলে এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য বারবার সতর্ক করে। এর মধ্যেই রাশিয়ার পক্ষ থেকে সেনা ফিরিয়ে নেয়ার খবর এলো।
ভাইস নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকালে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ফুটেজ প্রকাশ করে। সেখানে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে রাশিয়ার সেনাদের সরে যেতে দেখা গেছে।
রাশিয়া শুরু থেকেই জানিয়ে আসছে ইউক্রেনে হামলা করার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা দাবি করেন, ‘পশ্চিমাদের যুদ্ধের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হওয়ার দিনটি ইতিহাস হয়ে থাকবে। একটি গুলি ছাড়াই তাদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা হয়েছে।’
এদিকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেন, ‘এ বক্তব্য প্রমাণ করতে হলে মস্কোকে অবশ্যই ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করতে হবে।’
সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়ানো গেছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, ‘আমরা মিত্রদের নিয়ে রাশিয়াকে প্রতিহত করতে পেরেছি। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন কূটনীতি কাজ করেছে।’
সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করে রাশিয়া। গত ১০ ফেব্রুয়ারি মিত্র দেশ বেলারুশকে সঙ্গে নিয়ে ইউক্রেন সীমান্তে সামরিক মহড়া শুরু করে রাশিয়া। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি এই মহড়া শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার পর ইউক্রেনের জন্ম। রাশিয়া ইউক্রেনকে সব সময় পশ্চিমা বলয় থেকে মুক্ত রাখতে মরিয়া। প্রতিবেশী বেলারুশও মস্কোপন্থি। পূর্ব ইউরোপে রাশিয়ার আধিপত্য একচ্ছত্র।
এই অবস্থায় সামরিক সক্ষমতা দেখাতে সম্প্রতি সামরিক মহড়া বড় পরিসরে শুরু করে ন্যাটো । ইউক্রেনকে জোটে ভেড়াতে চেষ্টা চালাচ্ছে জোর। আর এখানেই আপত্তি রাশিয়ার। তাদের দাবি, ন্যাটো জোটে ইউক্রেনের যোগ দেয়া রাশিয়ার সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি।
এমন পরিস্থিতিতে পাল্টা ব্যবস্থা নেয় রাশিয়া। সীমান্তে সেনা মোতায়েন শুরু করে তারা। ক্রেমলিন জানায়, ইউক্রেনকে ন্যাটোভুক্ত করার পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হবে পশ্চিমাদের।