ইউক্রেনে যুদ্ধ এড়াতে একটি কূটনৈতিক সমাধানের লক্ষ্য নিয়ে সোমবার মস্কো যাচ্ছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস।
দ্য মস্কো টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন ও পূর্ব ইউরোপে চলমান অচলাবস্থা ও যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘিরে রাশিয়াকে ইউক্রেন হামলা থেকে বিরত রাখার প্রচেষ্টা চালানোর জন্যই এই সফর। যদিও এর আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ মস্কো সফরে এসে পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করলেও সমাধান মেলেনি। যদিও সে সময় রাশিয়ার পক্ষ থেকে উত্তেজনা প্রশমনে মাখোঁর নেয়া পদক্ষেপের প্রশংসা করা হয়।
মূলত পশ্চিমা বিশ্ব ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার লক্ষাধিক সেনা মোতায়েনের ঘটনাকে স্নায়ুযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছে। এমনকি রাশিয়ার সম্ভাব্য হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞারও প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তবে ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করলেও হামলার পরিকল্পনা বরাবরের মতাই নাকচ করে আসছে দেশটি।
যদিও পশ্চিমা গোয়েন্দাদের দাবি, বুধবারই দেশটি ইউক্রেনের ওপর হামলা শুরু করতে পারে।
সোমবার পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ‘ইউক্রেনের বিষয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর সুযোগ সব সময়ই রয়েছে।’
যদিও মস্কো সফরের আগে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলৎস কিয়েভ সফরেও গিয়েছেন। সেখানে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছেন। দুই নেতার এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে গতকাল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দেয়ার প্রচেষ্টা ছাড়বে না।
সীমান্তে রাশিয়ার সেনা মোতায়েন, বেলারুশের সঙ্গে দেশটির সামরিক মহড়া ও ব্ল্যাক সিতে রুশ নৌবাহিনীর উপস্থিতি ইউক্রেনের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে। যুদ্ধের হুমকি তো রয়েছেই। এর মাঝেই জেলেনস্কি বলেছেন, অনেক সাংবাদিক ও নেতা ইউক্রেনকে ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে ঝুঁকি নেয়া সম্ভব নয়। আমি বিশ্বাস করি, আমরা যে পথ বেছে নিয়েছি, সেই পথেই চলা উচিত।’