বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আলোচিত কান্দিল বালুচ হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ভাই খালাস

  •    
  • ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১১:১৭

রায়ের আগে ওয়াসিম ও কান্দিল বালুচের মা আদালতে একটি বিবৃতিও জমা দিয়েছিলেন যে তিনি তার ছেলেকে ক্ষমা করেছেন। তবে আদালত তার মায়ের সিদ্ধান্ত বিবেচনা করেছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পাকিস্তানে বোনকে অনার কিলিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে মুক্তি দিয়েছে পাকিস্তানের আদালত। ২০১৬ সালে পাকিস্তানের সোশ্যাল মিডিয়া তারকা কান্দিল বালুচকে হত্যা করার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তার ভাইকে। গ্রেপ্তারের পর ভাই মোহাম্মদ ওয়াসিম হত্যার দায় স্বীকার করেন এবং পরিবারের সম্মান রক্ষার জন্যই এই কাজ করেছেন তিনি। এই ঘটনাটি সে সময় পাকিস্তানে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার পাকিস্তানের আপিল আদালত কান্দিল বালুচের ভাই মোহাম্মদ ওয়াসিমকে মুক্তির আদেশ দেয়।

ওয়াসিমের আইনজীবী সরদার মেহবুব বিস্তারিত না জানিয়ে বলেছেন, পূর্বাঞ্চলীয় শহর মুলতানের একটি আদালত থেকে ‘ওয়াসিম খালাস পেয়েছেন।’

আদালত থেকে এখনও আদেশ প্রকাশ করা হয়নি। যদিও একজন সরকারি কৌঁসুলি খালাসের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রায়ের আগে ওয়াসিম ও কান্দিল বালুচের মা আদালতে একটি বিবৃতিও জমা দিয়েছিলেন যে তিনি তার ছেলেকে ক্ষমা করেছেন। তবে আদালত তার মায়ের সিদ্ধান্ত বিবেচনা করেছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

যদিও কান্দিল বালুচ হত্যার পরই রক্ষণশীল এই মুসলিম দেশে আইন সংশোধন করা হয়। যে সংশোধনীতে বলা হয়েছিল, অনার কিলিংয়ের ক্ষেত্রে শুধু পরিবারের সদস্যদের ক্ষমার ভিত্তিত্তে কাউকে মুক্তি দেয়া যাবে না।

২০১৬ সালে পুলিশের একটি মিডিয়া কনফারেন্সে সাংবাদিকদের মুখোমুখি করা হয় মোহাম্মদ ওয়াসিমকে। সেখানে তিনি স্বীকার করেন যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কার্যকলাপ চালানোর জন্য তিনি তার ২৬ বছর বয়সী বোন কান্দিল বালুচকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।

এ সময় হত্যায় জড়িত থাকার সন্দেহে একজন আলেম মুফতি আবদুল কাভিকেও গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও পরে তার সঙ্গে এই খুনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি দেখে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।

যদিও এর আগে ২০১৯ সালে হত্যার দায়ে সে দোষী সাব্যস্ত হয় এবং আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। পরে সে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে।

কান্দিল বালুচের প্রকৃত নাম ফৌজিয়া আজিম। তিনি মডেলিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চেয়েছিলেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সরব ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার কর্মকাণ্ডে পরিবারের সম্মান ক্ষুন্ন হচ্ছে- এই অভিযোগ এনেই তার ভাই মোহাম্মদ ওয়াসিম তাকে হত্যা করে। ২০১৬ সালের এই ঘটনাটি সে সময় পুরো পাকিস্তানে আলোড়ন তোলে। সে সময় ‘অনার কিলিং সংক্রান্ত আইন’ সংশোধনেও বাধ্য হয় সরকার।

এ বিভাগের আরো খবর