যেকোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। এমনটিই বলছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে দেশটি ইউক্রেন থেকে নাগরিকদের সরে যাওয়ার জন্য বলেছে, দূতাবাস থেকেও সরানো হয়েছে কর্মী। যুক্তরাজ্য, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়াসহ আরও ১২টি দেশ তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে ইউক্রেন থেকে। তবে ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ হিসেবে পোল্যান্ডকে নিতে হচ্ছে বাড়তি অনেক দায়িত্ব।
এবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার পোল্যান্ডের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যারিউস কামিনস্কি বলেছেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে হামলা চালায়, তাহলে দেশটি সম্ভাব্য শরণার্থী এলে ‘বিভিন্ন পরিস্থিতি’ মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এর আগে পোল্যান্ডের পূর্বের সিচানোর শহরের মেয়র ক্রজিসটফ কোসিনস্কি শনিবার জানিয়েছিলেন, আঞ্চলিক সরকার তাকে সম্ভাব্য উদ্বাস্তুদের জন্য থাকার জায়গা প্রস্তুত করতে বলেছে।
এ ছাড়া কোসিনস্কি টুইট বার্তায় বলেন, ‘শরণার্থীদের জন্য আবাসন সুবিধার তালিকা, কত মানুষের থাকার ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে, এর খরচ ও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভবন প্রস্তুতের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।’
পোল্যান্ডে ইতোমধ্যে এক থেকে দুই মিলিয়ন ইউক্রেনীয় বসবাস করে, যাদের মধ্যে অনেকেই কাজ করতে দেশে এসেছিলেন।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম থেকে ইতোমধ্যে জানা গিয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনার পাশাপাশি এস-৪০০-এর মতো ভারী ও কৌশলগত সমরাস্ত্র মোতায়েন করেছে। আকাশে ওড়াচ্ছে সুখোই যুদ্ধবিমান। রাশিয়ার নৌবাহিনীর ৩০টি জাহাজ ব্ল্যাক-সিতে মহড়া চালাচ্ছে, সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অত্যাধুনিক সাবমেরিন। প্রতিবেশী বেলারুশেও হয়েছে রুশ সেনা সমাবেশ। ঠিক এমন সময় যুক্তরাষ্ট্রের শঙ্কা, যেকোনো মূহুর্তে ইউক্রেনের ওপর হামলা চালাবে দেশটি।
যদিও রাশিয়া হামলার আশঙ্কা নাকোচ করে দিয়েছে। মস্কো উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য ন্যাটোকেই দায়ী করছে। তাদের দাবি, ন্যাটোকে ১৯৯৭ সালের আগেই রূপে ফিরিয়ে আনতে হবে। পূর্ব ইউরোপ থেকে সরাতে হবে জোটটির ঘাঁটি। একই সঙ্গে ইউক্রেনকে কখনই ন্যাটোভুক্ত করা যাবে না।
যদিও পশ্চিমা বিশ্ব শুরু থেকেই রাশিয়ার দাবি নাকোচ করে দিয়ে আসছে।
সম্প্রতি উত্তেজনা কমাতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন। পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ সময় আলোচনার পরও কোনো সমাধান আসেনি। যদিও রাশিয়ার পক্ষ থেকে মাখোঁর প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানানো হয়েছে। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।