বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বেলারুশকে নিয়ে রাশিয়ার সামরিক মহড়া শুরু

  •    
  • ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২৩:০৯

রাশিয়া ও তার মিত্র বেলারুশের এই যৌথ সামরিক মহড়াকে ফ্রান্স ‘সহিংস ইঙ্গিত’ বলে আখ্যা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও এ মহড়াকে ‘উত্তেজনা বাড়ানোর পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। এদিকে ইউক্রেন বলছে, ‘এই যৌথ মহড়া মানসিক চাপ প্রয়োগের শামিল।’

যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা মিত্রদের হুমকি-ধামকি উপেক্ষা করে রাশিয়া তার প্রতিবেশী দেশ বেলারুশে ১০ দিনের যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে।

এ সামরিক মহড়ার জন্য রাশিয়া বেলারুশে যে সেনা সমাবেশ করেছে তাকে স্নায়ুযুদ্ধের পর বৃহত্তম বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এই মহড়ার নাম দেয়া হয়েছে ‘অ্যালাইড রিজলভ-২০২২।’

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন ও পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য রাশিয়া যে প্রস্তুত তা জানান দেয়ার জন্যই এই মহড়া।

সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করে রাশিয়া। এরপর থেকে যে কোনো সময় তারা ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো আশঙ্কা প্রকাশ করে।

তবে রাশিয়া বরাবরই তা অস্বীকার করে বলে আসছে, তাদের এরকম কোনো পরিকল্পনা নেই।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া ও তার মিত্র সাবেক সোভিয়েত বেলারুশের এই যৌথ সামরিক মহড়াকে ফ্রান্স ‘সহিংস ইঙ্গিত’ বলে আখ্যা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও এ মহড়াকে ‘উত্তেজনা বাড়ানোর পদক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।

এদিকে ইউক্রেন বলছে, ‘এই যৌথ মহড়া মানসিক চাপ প্রয়োগের শামিল।’

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ন্যাটো প্রতিরক্ষা জোটের প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গের সঙ্গে দেখা করেছেন। এসময় তিনি এই মহড়ার বিষয়ে বলেছেন, ‘গত কয়েক দশকের মধ্যে ইউরোপ এখন তার সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা সংকটের সম্মুখীন।’

কোথায় এই সামরিক মহড়া

ইউক্রেনের সঙ্গে বেলারুশের সীমান্ত এক হাজার কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ। আর এই মহড়া হচ্ছে বেলারুশের সঙ্গে ইউক্রেনের সীমান্তের কাছেই।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, যদি রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান চালায় তাহলে এই মহড়ার জন্য আসা রুশ সেনারা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের অনেক কাছাকাছি থাকবে। শহরটির ওপর আক্রমণ চালানো তাদের জন্য সহজতর হবে। কারণ বেলারুশের যে অংশে মহড়া হবে, সেখান থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে কিয়েভ অবস্থিত।

২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়া উপত্যকা দখলের সময়ও এমন মহড়ায় দেখা গিয়েছিল রুশ সেনাদের।

মহড়া শুরু হলেও এতে কত সেনা যোগ দেবে তা মস্কো এবং মিনস্ক কেউই প্রকাশ করেনি। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, প্রায় ৩০ হাজার রুশ সেনা এতে অংশ নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সামরিক মহড়ার লক্ষ্য

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এই মহড়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে বহিঃশত্রুর আক্রমণকে কীভাবে আত্মরক্ষামূলক কার্যক্রম দিয়ে ঠেকানো যায় তার অনুশীলন করা।

এ ছাড়াও সীমান্তকে সুরক্ষিত করা এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদের সরবরাহের পথগুলো আটকে দেয়ার অনুশীলনও করবে দু'দেশের বাহিনী। কেন চটেছে রাশিয়া

গত মাসে পশ্চিমাদের কাছে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কিছু দাবি জানায় মস্কো। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- ইউক্রেনকে ন্যাটোভুক্ত হতে দেয়া যাবে না।

পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সামরিক মহড়া বন্ধের পাশাপাশি পোল্যান্ড, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া ও লিথুনিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে বলেও দাবি ওঠে।

এ ছাড়া রাশিয়ার কাছাকাছি কোনো দেশে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা যাবে না।

যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর জবাব

ওয়াশিংটন বলছে, ইউক্রেন তার মিত্র বাছাইয়ের অধিকার রাখে। তবে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনসহ বাকি বিষয় নিয়ে আলোচনার সুযোগ আছে।

মহড়া নিয়ে কে, কী বলছেন

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ‘ইউক্রেন যদি ন্যাটোতে যোগ দেয় এবং আট বছর আগে রাশিয়ার দখল করে নেয়া ক্রিমিয়া উপত্যকা পুনর্দখল করার চেষ্টা করে তাহলে পুরো ইউরোপ একটা বড় আকারের সংঘাতে জড়িয়ে যাবে।’

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, একটি সর্বাত্মক অভিযান চালানোর জন্য যতটা দরকার তার ৭০% সামরিক শক্তি এরই মধ্যে জড়ো করে ফেলেছে রাশিয়া।

এ বিভাগের আরো খবর