বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হিজাবে বাধা উঠছে না কর্ণাটকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে

  •    
  • ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২২:৩৪

আদালত বলেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হবে। তবে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির আগ পর্যন্ত শিক্ষার্থীসহ কাউকেই ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের ধর্মীয় পোশাক পরার অনুমতি দেয়া হবে না।

কর্ণাটকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাবের মতো ধর্মীয় পোশাকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আপাতত বহাল থাকছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে রাজ্যের হাইকোর্ট। তবে বন্ধ থাকা কলেজ খুলে দেয়ার নির্দেশনা আসছে শিগগিরই।

কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রিতু রাজ আওয়াস্তির নেতৃত্বে তিন বিচারকের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ ইঙ্গিত দেয়।

আদালত বলেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হবে। তবে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির আগ পর্যন্ত শিক্ষার্থীসহ কাউকেই ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের ধর্মীয় পোশাক পরার অনুমতি দেয়া হবে না।

রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতেই এ নির্দেশনা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্ণাটক হাইকোর্ট।

এ সময় আইনজীবীদের উদ্দেশে বেঞ্চ বলে, বিষয়টি এখন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে। দিনভিত্তিক আমরা শুনানি করব। দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। কিন্তু তার আগে রাজ্যে স্থিতিশীলতা ফেরাতে হবে। ১৪ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানি হবে।

কলেজে হিজাব পরার অধিকার নিয়ে গত মাসে পাঁচ শিক্ষার্থী হাইকোর্টে আবেদন করেন। এক দফা শুনানি হলেও ফল আসেনি। পরে হাইকোর্ট এটিকে বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠায়। কর্ণাটক আদালতের একটি বিশেষ বেঞ্চ বৃহস্পতিবার হিজাব প্রশ্নে আবেদনকারীদের বক্তব্য শোনে।

হাইকোর্টের বক্তব্য মানতে পারছেন না আবেদনকারীরা। তাদের আইনজীবী দেবাদূত কামাত বলেন, ‘আদালতের এই আভাসে আমাদের আপত্তি আছে।’

এক আবেদনকারী বলেন, ‘রাজ্যে এটা কখনই পাস হবে না। এটা সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেদের বিরুদ্ধে। সেখানে স্পষ্ট বলা আছে, নিজেদের বিশ্বাস ও ধর্ম পালনের অধিকার সবার আছে।’

কর্ণাটকের শিক্ষামন্ত্রী নাগেশ বিসি একে নির্বাচন ঘিরে বিরোধীদের কূটকৌশল বলছেন। তার মতে, গেরুয়া স্কার্ফ ও হিজাব উভয়ই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিষিদ্ধ করা উচিত।

‘এটি মূলত রাজনীতি, সামনের বছর রাজ্য সংসদ নির্বাচন। কিছু দুর্বৃত্তগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের উসকানি দিচ্ছে।’

ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমের রাজ্য কর্ণাটকের একটি কলেজে গত ৩১ ডিসেম্বর ছাত্রীদের হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কর্তৃপক্ষ। প্রতিবাদে এদিনই বিক্ষোভ করেন ছয় ছাত্রী। সময়ের সঙ্গে তাদের সঙ্গে যোগ দেন আরও অনেকে। এ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে গেরুয়া স্কার্ফধারী ও হিজাবের সমর্থনে আন্দোলনকারীদের সংঘাতও হয়েছে।

উদুপির জেলার এই সরকারি কলেজটিতে ১৯৮৫ সাল থেকে ছাত্রীদের ড্রেস কোড- চুড়িদার কিংবা দোপাট্টা। কিন্তু অনেক মুসলিম ছাত্রী এসবের ওপর হিজাব বা নেকাব পরে আসতেন। পরে কলেজ নিয়ম করে, পাঠদান চলাকালীন হিজাব বা নেকাব পরা যাবে না।

এ বিভাগের আরো খবর