পরমাণু প্রযুক্তি ইস্যুতে পশ্চিমাদের সঙ্গে আলোচনার মধ্যেই ইরান তার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করে।
ইরান এবার নতুন একটি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে, যার পাল্লা ১ হাজার ৪৫০ কিলোমিটার। এটি ইসরায়েলসহ উপসাগরীয় সব কটি দেশের রাজধানী, এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের যুক্তরাষ্ট্রের সব সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত হানতে সক্ষম- এমনটাই জানানো হয়েছে আরব নিউজের প্রতিবেদনে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে ভূমি থেমে ভূমিতে নিক্ষেপণযোগ্য ‘খাইবার শেকান’ নামের ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রদর্শন করা হয়।
একজন সামরিক মুখপাত্র ক্ষেপণাস্ত্রটি সম্পর্কে বলেন, এই দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটি স্থানীয়ভাবেই তৈরি করেছে ইরানের বিপ্লবী বাহিনী, এটি নির্ভুলভাবে নিশানায় আঘাত হানতে সক্ষম।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে ইরানের। গত বছরই ইসরায়েলকে সতর্ক করে ইরান একটি সামরিক মহড়ায় ১৬টি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল বাঘেরি বলেন, ইরান তার সামরিক সরঞ্জাম নির্মাণে আত্মনির্ভরশীল। তিনি দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির অবরোধ তুলে দিলে তারাই হবে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ।
দি ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের (দি আইআইএসএস) বরাতে জানা যায়, ইরানের কাছে ২০ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রও। এগুলোর পাল্লা একেকটা একেক রকমের। যেমন কিয়াম-১ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ৮০০ কিলোমিটার আবার ঘাদর-১ আঘাত হানতে পারে ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতেও।
আইআইএসএসের মতে, ইরানের লক্ষ্য এখন তাদের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো যাতে নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে, সে বিষয়টি নিশ্চিত করা।
এদিকে তেহরানের ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্প চলমান পরমাণুসংক্রান্ত আলোচনার বিষয়বস্তুতে নেই। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের উপসাগরীয় মিত্র দেশগুলো মনে করে, আলোচনার মধ্যে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পও থাকা উচিত।