রাশিয়ার সরকার ও দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি পরিচালনার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছে। মঙ্গলবার একটি ঘোষণায় এমনটিই জানা গেছে।
কয়েন টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ক্রিপ্টোকারেন্সি-বিষয়ক খসড়া আইন নিয়ে কাজ করছে। এই আইনে ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে ডিজিটাল আর্থিক সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করার পরিবর্তে মুদ্রা হিসেবেই বিবেচনা করা হবে।
তবে দেশটিতে বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন অবৈধ কিছু নয়। তবে এখন থেকে নতুন খসড়া আইনে অবশ্যই ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন করতে হবে বিদ্যমান ব্যাংকিং সিস্টেমের মতো ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬ লাখ রুবলের (৮ হাজার ডলার) বেশি ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন করতে হলে অবশ্যই কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। অন্যথায় এই লেনদেনকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। যারা অবৈধ উপায়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করবে, তাদের জরিমানা করা হবে।
কয়েক মাস ধরে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে রাশিয়ার সরকার কী করতে যাচ্ছে, তা নিয়ে বেশ জল্পনা-কল্পনা চলছিল প্রযুক্তিজগতে। জানুয়ারিতেই রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশটিতে ক্রিপ্টো নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিল। এমনকি কেন্দ্রীয় ব্যাংক মতামত প্রকাশ করেছিল, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্রিপ্টো লেনদেন করতে দেয়া উচিত নয়।
যদিও সে সময় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ইভান চেবেস্কভ বলেছিলেন, সরকারের উচিত ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করার পরিবর্তে নিয়ন্ত্রণ করা। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে পুরো নিষেধাজ্ঞা দিলে রাশিয়া প্রযুক্তিজগতে পিছিয়ে পড়বে।
এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও ক্রিপ্টো মাইনিং সেক্টরকে নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করেছেন।