আফগানিস্তানের প্রধান বিমানবন্দর হলো দেশটির রাজধানী কাবুলে অবস্থিত হামিদ কারজাই বিমানবন্দর। দেশটি থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের পর বিমানবন্দরটি পরিচালনার ক্ষেত্রে কারিগরি ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয়গুলো বজায় রাখতেই হিমশিম খাচ্ছে বর্তমান কর্তৃপক্ষ। তালেবানরা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিমানবন্দরটি পরিচালনায় আগ্রহ দেখাচ্ছে তুরস্ক।
কাতারের প্রতিনিধিদলকে সঙ্গে নিয়ে দোহায় তালেবানের সঙ্গে বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার বিষয় নিয়ে তালেবান প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল তুরস্ক।
ডেইলি সাবাহর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানবন্দর নিয়ে আলোচনায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একমত হয়েছে তিন পক্ষই। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে পত্রিকাটি।
তবে ঠিক কোন বিষয়গুলোতে ঐকমত্যে পৌঁছানো গেছে, তা জানা যায়নি।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরসংক্রান্ত চূড়ান্ত আলোচনা সামনের সপ্তাহেই অনুষ্ঠিত হবে।
আফগানিস্তানে গত আগস্টে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর তুরস্কের পক্ষ থেকে কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও কারিগরি দিক পরিচালনা করার জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়। আফগানিস্তানের জন্য বিমানবন্দরটি সচল রাখা খুবই জরুরি। কারণ বিমানবন্দর দিয়েই বেশির ভাগ বিদেশি সাহায্য আসে দেশটিতে।
ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র তুরস্কের সঙ্গেই তালেবানের উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তালেবানরা ক্ষমতায় আসার পর পশ্চিমারা আফগানিস্তান থেকে দূতাবাসের কার্যক্রম গুটিয়ে নিলেও একমাত্র ন্যাটোভুক্ত দেশ তুরস্কই তাদের দূতাবাসের কার্যক্রম খোলা রাখে।