প্যারোলে মুক্তি পেলেন ভারতের আলোচিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম। ধর্ষণ ও খুনের দায়ে সাজা খাটা রহিমকে ২১ দিনের জন্য মুক্তি দিয়েছে হরিয়ানার জেল কর্তৃপক্ষ।
হরিয়ানার রোহটাক জেলার সুনায়রা কারাগার থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি ছাড়া পান রাম রহিম। ২৮ ফেব্রুয়ারি ফের কারাগারে ফিরবেন তিনি।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, জেল থেকে সরাসরি তিনি তার আশ্রম গুরুগ্রামে যান। সেখানে দেখা করেন পরিবারের সঙ্গে।
রাজনৈতিক বিরোধীরা বলছেন, ২০ ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাব বিধানসভার নির্বাচন ঘিরে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। রাজ্যটিতে দলিত নেতা চরণজিৎ সিংহ চন্নীকে মুখ্যমন্ত্রী পদে মনোনয়ন দিয়েছে কংগ্রেস। আর এতেই আতংকিত কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি।
অবশ্য এসব মানতে নারাজ পাশের রাজ্য হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল কাত্তার। তিনি বলেন, আইনি উপায়ে প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন আলোচিত এই ধর্মগুরু। এর সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক নেই।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, হরিয়ানার সিরসায় ডেরা সচ্চা সৌদার মূল আশ্রমটি অবস্থিত। বলা হচ্ছে, রাজ্যের ১১৭ আসনের মধ্যে অন্তত ৬৯টিতে ডেরা অনুগামীদের প্রভাব রয়েছে।
২০০২ সালে ডেরা ভক্তরা কংগ্রেসের কাছাকাছি ছিলেন। ২০০৭ সালের ভোটে কংগ্রেসকে খোলাখুলিভাবে সমর্থনও করেছিলেন ডেরার সমর্থকেরা। ভোটে তার সুফলও পেয়েছিল কংগ্রেস। ২০১৭ সালে বিজেপি-অকালি জোটকে সমর্থন করে ডেরা। কিন্তু সেবার ভোটে তেমন সুবিধা করতে পারেনি এই জোট।
ধারণা করা হচ্ছে, পাঞ্জাবের মালওয়া অঞ্চলের ভাটিন্ডা, মুক্তসর, মানসা, পাতিয়ালা, বারনালা, ফরিদকোট, মোগা, ফিরোজ়পুর, লুধিয়ানা, মোহালি জেলাগুলিতে ভোটারদের মধ্যে রাম রহিমের ডেরা সাচ্চা সৌদার বিশেষ প্রভাব রয়েছে। বিজেপি আশা করছে, ২০ ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাবের ভোটে ডেরার সমর্থন মিললে, দলিতদের কাছে টানা সম্ভব হবে।
দুটি খুনে দোষী প্রমাণ হওয়ায় যাবজ্জীবন সাজার পাশাপাশি ধর্ষণের দায়ে ২০ বছরের দণ্ড ভোগ করছেন রাম রহিম। আগেও তিনবার প্যারোলে মুক্তি পেয়েছে তিনি। অসুস্থ মা-কে দেখতে ও চিকিৎসার কারণে তাকে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কারাগারের বাইরে থাকার সুযোগ দেয়া হয়েছিল তখন।