তথ্য আদান-প্রদানসংক্রান্ত জটিলতায় ইউরোপের সঙ্গে টানাপোড়েনে আছে ফেসবুকের স্বত্বাধিকারী কোম্পানি মেটা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নতুন একটি আইনের পর এই ঝামেলার শুরু।
ইইউ-এর দাবি, তাদের জোটের দেশগুলোর ব্যবহারকারীদের তথ্য যেসব প্রতিষ্ঠান সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণ করবে, তাদেরকে তা ইউরোপিয়ান সার্ভারেই রাখতে হবে।
জবাবে মেটা বলেছে, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান দুটি সার্ভারেই তথ্য প্রক্রিয়া করে থাকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বিজ্ঞাপনের জন্য এটি জরুরি।
যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কাছে পাঠানো প্রতিবেদনে জাকারবার্গের প্রতিষ্ঠান মেটা বলছে, তারা ইইউর আইন মেনে চলার চেষ্টা করবে। ব্যর্থ হলে, ইউরোপে বন্ধ করে দেয়া হবে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম।
ইউরোনিউজ ডটনেক্সটের খবরে বলা হয়েছে, মেটার আরেকটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউরোপে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম বন্ধের পরিকল্পনা নেই তাদের।
মেটার মুখপাত্র বলেন, ‘তবে বাস্তবতা হলো, মেটাসহ অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বিশ্বজুড়ে তাদের পরিষেবা পরিচালনার জন্য ইইউ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ডেটা আদান-প্রদানের ওপর নির্ভর করে।’
এর আগে ‘প্রাইভেসি শিল্ড’ নামে একটি ডেটা ট্রান্সফার ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করত মেটা। এতে বৈধ উপায়ে ট্রান্সঅ্যাটলান্টিক ডেটা স্থানান্তর করা হতো।
এভাবেই চলছিল ব্যবসা। কিন্তু বিপত্তি বাধে ২০২০ সালে।ওই বছর ইউরোপিয়ান আদালত জানায়, এই চুক্তিতে ইউরোপীয় নাগরিকদের গোপনীয়তা (তথ্য সুরক্ষা আইন) পর্যাপ্তভাবে রক্ষা করা যাচ্ছে না। বাতিল হয় চুক্তিটি। এতে আমেরিকান প্রতিষ্ঠানগুলো ইউরোপীয় ব্যবহারকারীর ডেটা পাঠাতে সীমাবদ্ধতায় পড়ে।
নতুন চুক্তি অথবা আগেরটিকে ঘষামাজা করে তথ্য আদান-প্রদানে নতুন চুক্তিতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।