আগামী ১ মার্চ থেকে মালয়েশিয়ার সীমান্ত পুরোপুরি খুলে দেয়া এবং পর্যটকদের জন্য বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন তুলে নেয়ার সুপারিশ করেছে দেশটির করোনাভাইরাস রিকভারি কাউন্সিল।
অর্থনৈতিক অবস্থা পুনরুদ্ধারে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সরকারের কাছে কাউন্সিল এমন সুপারিশ করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর ২০২০ সালের মার্চে সীমান্ত বন্ধ করে দেয় দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশ। বন্ধ রয়েছে সীমান্ত দিয়ে বিদেশি কর্মী প্রবেশের প্রক্রিয়াও।
প্রতিবেশি দেশ থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন এবং সিঙ্গাপুর সহ কয়েকটি দেশ টিকাগ্রহণকারী পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন তুলে নেয়ার প্রেক্ষাপটে মালয়েশিয়াও সে পথে হাঁটার পরিকল্পনা করছে।
মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল রিকভারি কাউন্সিলের (এনআরসি) চেয়ারপারসন মুহিউদ্দিন ইয়াসিন জানান, দেশে ঢোকার সময় এবং বের হওয়ার সময় করোনার পরীক্ষা করাতে হবে।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো পর্যটকরা মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন, বিনিয়োগকারীরাও আসতে পারবেন। বিমান চলাচল করবে।’
এই মুহূর্তে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় শুধু সিঙ্গাপুর থেকে কেউ প্রবেশ করলে তাকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন থাকতে হবে না। এ ছাড়া অন্য যে কোনো দেশ থেকে এ দেশে ঢুকতে এই নিয়ম মেনে চলতে হবে।
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রকোপে সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় সংক্রমণ বেড়েছে। তবু অর্থনৈতিক অবস্থাসহ নানা বিষয় বিবেচনায় নিয়ে করোনারবিধি কিছুটা শিথিল করার কথা ভাবছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথম করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের অন্য দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। প্রায়ই এই ভাইরাসের নতুন নতুন ধরন শনাক্ত হচ্ছে।