দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ও বিধায়ক পদ ছেড়েছেন ত্রিপুরার বিজেপি নেতা সুদীপ রায় বর্মন।
বিধানসভায় গিয়ে সোমবার সকালে স্পিকার রতন চক্রবর্তীর কাছে পদত্যাগপত্র দেন তিনি। এসময় তার অনুসারী বিধায়ক আশিস সাহাও পদত্যাগ করেন।
বিজেপি ছেড়ে সুদীপ অন্য দলে যোগ দেবেন বলে বহুদিন থেকেই শোনা যাচ্ছিল। ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরোধী গোষ্ঠীর বিজেপি নেতা হিসেবে পরিচিত সুদীপ।
সুদীপ সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, ২০২৩ সালে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে তিনি লড়বেন না।
পদত্যাগপত্র দেয়ার পর সুদীপ বলেন, ‘শোধরানোর জন্য আমরা অনেক ধৈর্য্য ধরেছি। কিন্তু আর না। মানুষের জন্য এটুকু কাজ করলাম। দলে ছিলাম। মানুষের চাহিদা পূরণের অনেক চেষ্টা করেছি।’
সুদীপ অভিযোগ করে বলেন, ‘যে উদ্দেশ্যে পরিবর্তন আনা হয়েছিল তার ধারে কাছেও যায়নি সরকার। রাজ্যে গণতন্ত্রের পরিবেশ থাকা প্রয়োজন। যেখানে মানুষ খোলাখুলি আলোচনা করতে পারবে।’
সরকার সাধারণ মানুষ ও সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে অভিযোগ করে সুদীপ বলেন, ‘সংবাদের শিরোনাম কী হবে তা ঠিক করে দেয়া, টিভি বন্ধ করে দেয়া, পত্রিকার মালিকদের হুমকি দেয়া, গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়া ও ভাঙচুর করা হয়। আর এসবের জন্য দল ও বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি সুদীপ গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। সেসময় সুদীপের হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরায় সংগঠন মজবুত করেছিল। কিন্তু পরে ত্রিপুরায় বিজেপির উত্থানে অনুসারীদের নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন সুদীপ। তার হাত ধরে ত্রিপুরায় বিজেপি ক্ষমতায় আসে। পরে তার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিবাদ বাধে। সেই বিবাদ চরমে ওঠায় দলবিরোধী কাজের অভিযোগে সুদীপকে ত্রিপুরার মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করেন বিপ্লব।
বিজেপি ছেড়ে সুদীপের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেয়ার কথা বলছেন ত্রিপুরার রাজনীতিবিদরা।