বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাশিয়ার উচিত আমাদের ভয় পাওয়া: ইউক্রেন

  •    
  • ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০৮:৫৭

ইউক্রেনে সীমান্তে লক্ষাধিক রুশ সেনা মোতায়েন ও বেলারুশের সঙ্গে দেশটির একের পর এক মহড়া সত্ত্বেও রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা।

রাশিয়ার সম্ভাব্য আগ্রাসনের সম্ভাবনাকে মোটেই গুরুত্ব দিচ্ছে না ইউক্রেন। যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা যখন বলছেন, ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলা চালানোর ৭০ শতাংশ প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে রাশিয়া। ঠিক এমন সময় ইউক্রেন বলছে, মহাপ্রলয়ের মতো ভবিষ্যদ্বাণী বিশ্বাস করবেন না।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাম প্রকাশ না করে যুক্তরাষ্ট্রের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাশিয়ার হামলার সম্ভাব্য পরিণতি হিসেবে ভাবা হচ্ছে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশটির রাজধানী দখল ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ।

ইউক্রেনের একটি শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী, নিরঙ্কুশ আন্তর্জাতিক সমর্থন এবং দেশের ওপর ইউক্রেনীয়দের বিশ্বাস রয়েছে। ভয় পাওয়া উচিত শত্রুদের, আমাদের নয়।

তিনি বলেন, ঠিক এ রকম পরিস্থিতিতে ২৫ থেকে ৫০ হাজার বেসামরিক মানুষ হতাহত হতে পারে এবং ইউক্রেনের সৈন্য মারা যেতে পারে ২৫ হাজার।

ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক রুশ সেনা মোতায়েন ও বেলারুশের সঙ্গে দেশটির একের পর এক মহড়া সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা।

তিনি রোববার টুইট বার্তায় বলেন, কোনো ধরনের মহাপ্রলয়ের মতো ভবিষ্যদ্বাণী বিশ্বাস করবেন না। ভিন্ন রাজধানীর ভিন্ন পরিস্থিতি। কিন্তু ইউক্রেন যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত। যদিও তিনি টুইটটি করেছেন শুধু ইউক্রেনবাসীর জন্য।

কুলেবা আরও বলেন, ‘ইউক্রেনের একটি শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী, নিরঙ্কুশ আন্তর্জাতিক সমর্থন এবং দেশের ওপর ইউক্রেনীয়দের বিশ্বাস রয়েছে। ভয় পাওয়া উচিত শত্রুদের, আমাদের নয়।’

এর আগে ঠিক এমনটাই দাবি করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘গত বসন্ত থেকে রাশিয়া সীমান্তে সেনা মোতায়েন শুরু করে। তবে এটাকে ইউক্রেনের জন্য হুমকি ভাবছি না। পশ্চিমারা আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছে।’

এ ছাড়া জেলেনস্কি ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের আহ্বান জানিয়েছিলেন, সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েন নিয়ে তারা যেন কোনো আতঙ্ক সৃষ্টি না করে।

যদিও ইউক্রেনের বিভিন্ন মহল থেকে পরিস্থিতির বিষয়ে উদ্বেগ না দেখালেও তারা ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর কাছে অস্ত্র সাহায্য চাইছে। নিজের দেশের বেসামরিক নাগরিকদেরও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করছে। এদিকে রাশিয়াও সেনা সরাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে কিংবা মার্চের শুরুর দিকে অঞ্চলটি ভারী যানবাহন চলাচলের উপযুক্ত হবে। সে সময় রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাতে পারে।

যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির পশ্চিমা মিত্ররা ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়াকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেও চীন জানিয়েছে, ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার পাশে থাকবে দেশটি।

এ বিভাগের আরো খবর