বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউক্রেন ইস্যুতে সেনা বাড়াচ্ছে ন্যাটোও

  •    
  • ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২০:০০

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়া দ্রুত ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখলে নেয়ার চেষ্টা করবে। এতে অন্তত ৫০ হাজার বেসামরিক মানুষের হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব ঘটতে পারে আগামী দেড় মাসের মধ্যে।

ইউক্রেনে হামলার জন্য রাশিয়া ৭০ শতাংশ প্রস্তুত বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন বলছে, চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে মার্চ পর্যন্ত সীমান্তে ভারী সরঞ্জাম মোতায়েন করবে মস্কো।

অবশ্য এমন দাবির প্রমাণ দেখাতে পারেননি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আমেরিকান কর্মকর্তারা।

নিউ ইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্টের বরাতে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়া দ্রুত ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখলে নেয়ার চেষ্টা করবে। এতে অন্তত ৫০ হাজার বেসামরিক মানুষের হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো বাহিনীকে জোরদার করতে পোল্যান্ডে অতিরিক্ত সেনা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রেশো শহরে শনিবার প্রথম সেনা দলটি পৌঁছায়।

কয়েক দিন আগে বাইডেন প্রশাসন ঘোষণা দেয়, পূর্ব ইউরোপে অতিরিক্ত তিন হাজার সেনা পাঠাবে তারা।

এর আগে ইউরোপে আরও দুই হাজার সেনা মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া ন্যাটো দেশগুলোর ‘শক্তিশালী প্রতিরক্ষা’ গড়ে তুলতে জার্মানি থেকে এক হাজার সেনা সরিয়ে পূর্ব ইউরোপের দেশ রোমানিয়ায় মোতায়েন করা হয়েছে।

এসবের পরও কূটনীতিক উপায়ে সংকট সমাধানের বিষয়ে আগ্রহী বিবদমানরা। শিগগিরই কিয়েভ ও মস্কো পরিদর্শন করবেন ইউরোপের নেতারা।

নতুন সংকটের শুরু যেভাবে

পূর্ব ইউরোপে সামরিক সক্ষমতা দেখাতে সম্প্রতি সামরিক মহড়া বড় পরিসরে শুরু করে ন্যাটো । ইউক্রেনকে জোটে ভেড়াতে চেষ্টা চালাচ্ছে জোর।

আর এখানেই আপত্তি রাশিয়ার। তাদের দাবি, ন্যাটো জোটে ইউক্রেনের যোগ দেয়া রাশিয়ার সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। এ ছাড়া সীমান্তে ন্যাটোর সামরিক মহড়ায় উদ্বিগ্ন মস্কো।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পাল্টা ব্যবস্থা নেয় রাশিয়া। সীমান্তে সম্প্রতি সেনা মোতায়েন শুরু করে মস্কো। কারণ হিসেবে ক্রেমলিন জানায়, ইউক্রেনকে ন্যাটোভুক্ত করার পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হবে পশ্চিমাদের।

সেই সঙ্গে পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সামরিক মহড়া বন্ধের পাশাপাশি পোল্যান্ড, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া ও লিথুনিয়া থেকে ন্যাটোর সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। রাশিয়ার কাছাকাছি কোনো দেশে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা যাবে না।

এসব দাবির মধ্যে ইউক্রেনকে ন্যাটোভুক্ত করার দাবি ছাড়া বাকি ইস্যুগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছানোর কথা বলছে হোয়াইট হাউস।

এ বিভাগের আরো খবর