চীন ছয় দশক ধরে ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের প্রায় ৩৮ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে রেখেছে। এ ছাড়া পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেকের ওপর চীন যে সেতুটি নির্মাণ করছে, সেটাও বেআইনিভাবে দখলকৃত ভারতের জায়গার ওপর।
ভারতীয় লোকসভায় এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলিধরন।
একটি প্রশ্নের লিখিত জবাবে ভি মুরলিধরন পাকিস্তান তার অবৈধভাবে দখলকৃত এলাকা থেকে ১৯৬৩ সালে শাক্সগাম উপত্যকার ৫ হাজার ১৮০ বর্গকিলোমিটার ভারতীয় ভূখণ্ড চীনকে দিয়েছিল।
এ ছাড়া চীন ছয় দশক ধরে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের প্রায় ৩৮ হাজার বর্গকিলোমিটার ভারতীয় ভূখণ্ড অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে।
অন্য একটি প্রশ্নের লিখিত জবাবে বলা হয়েছে, ‘প্যাংগং লেকে চীনের দ্বারা নির্মিত একটি সেতুর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে। এ সেতুটি সেই জায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে, যেগুলো ১৯৬২ সাল থেকে চীন অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। ভারত সরকার কখনই এই অবৈধ দখলদারিকে মেনে নেয়নি।’
আট মিটার চওড়া এ সেতুটি প্যাংগং লেকের উত্তর তীরে এক চীনা সেনাঘাঁটির ঠিক দক্ষিণে অবস্থিত।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ভারতীয় ও চীনা সেনার মধ্যে অচলাবস্থার সময় এখানে চীনা ফিল্ড হাসপাতাল এবং জওয়ানদের থাকার ব্যবস্থাও করতে দেখা গিয়েছিল।
মুরলিধরন বলেছেন, ‘সরকার বেশ কয়েকবার স্পষ্ট করে দিয়েছে যে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ– এই দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ভারতের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং আমরা আশা করি, অন্য দেশগুলো ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করবে।’
চীনের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা চলছে ভারতের। ভারত ও চীনের সিনিয়র কমান্ডারদের মধ্যে শেষ দফা আলোচনা হয়েছিল ১২ জানুয়ারি।
প্রতিমন্ত্রী লিখিত জবাবে আরও জানান, ‘এই আলোচনায় আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে তিনটি মূল নীতি রয়েছে এবং সেটিই অব্যাহত থাকবে। প্রথমত, উভয় পক্ষই কঠোরভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখাকে মেনে চলবে। দ্বিতীয়ত, কোনো পক্ষই একতরফাভাবে স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করবে না; এবং তৃতীয়ত, উভয় পক্ষের মধ্যে সব চুক্তি অবশ্যই সম্পূর্ণরূপে মেনে চলতে হবে।’