দূরত্ব আর সময়ের হিসাবে বিদ্যুৎ চমকানোর দুটি রেকর্ড হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দক্ষিণ-পূর্বের মিসিসিপি রাজ্যে ২০২০ সালের ২৯ এপ্রিল এটি রেকর্ড হয়।
দ্য ওয়ার্ল্ড মেট্রলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) সাম্প্রতিক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।
ডব্লিউএমওর বরাতে আর্থ স্কাইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ চমকটি ৭৬৮ কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ ছিল। মিসিসিপি থেকে টেক্সাসের হিউস্টোন শহর পর্যন্ত দেখা গিয়েছিল এই আলোর ঝলকানি। স্থায়িত্ব ছিল ১৭ দশমিক ১০২ সেকেন্ড।
এর আগে বিশ্বের দীর্ঘতম বিদ্যুৎ চমক দেখা গিয়েছিল ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে। ৭০৯ কিলোমিটারের ঝলকানিটি ছিল এতদিন দীর্ঘ দূরত্বের বজ্রপাত।
ডব্লিউএমওর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, দীর্ঘ সময়ের বিদ্যুৎ চমকের আগের রেকর্ডটি ছিল ১৬ দশমিক ৭ সেকেন্ডের। লাতিন আমেরিকার দেশ উরুগুয়ে এবং আর্জেন্টিনার আকাশে ২০২০ সালের ১৮ জুন এটি রেকর্ড হয়েছিল।
এ ছাড়া আর্জেন্টিনায় ২০১৯ সালের ৪ মার্চ ১৬ দশমিক ৭৩ সেকেন্ডব্যাপী বিদ্যুৎ চমকটি ছিল এতদিন সবচেয়ে লম্বা সময় ধরে থাকা ঝলকানি।
ডব্লিউএমওর আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক কর্মকর্তা অধ্যাপক র্যান্ডাল সার্ভে বলেন, ‘এটি প্রকৃতির অসীম শক্তির পরিমাপক। এর চেয়েও বড় বজ্রপাতের শঙ্কা আছে।
বজ্রপাত বিশেষজ্ঞ রন হোল বলেন, ‘বজ্রপাতের সময় একমাত্র নিরাপদ অবস্থান হলো ওয়্যারিং এবং প্লাম্বিং করা বিল্ডিং। এ সময় সৈকত বা বাস স্টপেজে অবস্থান করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, ‘রেকর্ড করা ঘটনাগুলো থেকে দেখা যায়, একটি বজ্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। এ ধরনের ঘটনা যদিও তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে রেকর্ড করা হয়েছে, তবুও সচেতন থাকতে হবে।’
ডব্লিউএমওর হিসাবে সরাসরি বজ্রপাতে ১৯৭৫ সালে আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়েতে ২১ জনের প্রাণহানি হয়েছিল। আর মিসরে ১৯৯৪ সালে বজ্রপাতে একটি তেলের ট্যাংকে বজ্রপাতের পর বিস্ফোরণে মারা যান ৪৬৯ জন।