বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেড় শ বছরের সাজার সামনে সুচি?

  •    
  • ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৪:৪৯

ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী ৭৭ বছর বয়সী অং সান সুচি গত বছর ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই আটক রয়েছেন। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা, মহামারিকালীন বিধিনিষেধ উপেক্ষা ও টেলিকমিউনিকেশন আইন ভাঙার দায়ে ইতিমধ্যে তাকে ৬ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের তৎকালীন সরকারপ্রধান অং সান সুচিকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির সামরিক বাহিনী। জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, দেশটির নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের পরিপ্রেক্ষিতে তারা পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে। পরবর্তী সময়ে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে জান্তা সরকারের ইন্ধনে অং সান সুচির বিরুদ্ধে প্রায় ডজনখানেক মামলা দেয়া হয়। যার রায়ে ইতিমধ্যে তিনি কারাভোগ করছেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্নীতির অভিযোগ এনে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া অং সান সুচির বিরুদ্ধে নতুন করে আরও ১১টি মামলা করেছে। অভিযোগগুলো প্রমাণিত হলে প্রত্যেকটি অভিযোগের জন্য অং সান সুচির ১৫ বছর করে ১৫০ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে।

এর মাঝে পুলিশে দায়ের করা এক অভিযোগে বলা হয়েছে, অং সান সুচির নিজের মায়ের নামে করা একটি দাতব্য সংস্থায় ৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার নিয়েছেন।

এমন দিনে জান্তা সরকার এই অভিযোগ আনল যখন দেশটির সামরিক বাহিনী উত্তর-পশ্চিমের সাগাইন অঞ্চলে বেসামরিক মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ সময় সেনারা প্রায় ৪০০ বাড়িঘরে আগুন দেয় এবং হাজারও মানুষকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে।

ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী ৭৭ বছর বয়সী অং সান সুচি গত বছর ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই আটক রয়েছেন। সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা, মহামারিকালীন বিধিনিষেধ উপেক্ষা ও টেলিকমিউনিকেশন আইন ভাঙার দায়ে ইতিমধ্যে তাকে ৬ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে আরও দুর্নীতির অভিযোগ ও ঔপনিবেশিক আমলের রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে বিচারকাজ চলছে।

যদিও অং সান সুচি তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশটির সেনাবাহিনী; আটক করে শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্তসহ অনেককে।

তাদের গ্রেপ্তারের পর থেকেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে নজিরবিহীন বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে মিয়ানমার। বিক্ষোভ দমনে কঠোর হয় সেনাবাহিনী।

বর্তমানে দেশটি গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে, গণতন্ত্রপন্থিদের সঙ্গে সামরিক বাহিনীর সংঘাত লেগেই আছে। ফলে বহু মানুষ হতাহত হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর