বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৫০ বছর পর জাদুঘরে ফিরল ‘বাক্কাস’

  •    
  • ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২২:০০

দেবতা বাক্কাসের মূর্তি চুরি হওয়ার ৫০ বছর পর তা খুঁজে পেয়েছেন শিল্প গোয়েন্দা আর্থার ব্র্যান্ড। অস্ট্রিয়ান একজন সংগ্রাহক এক ক্লায়েন্টকে মূর্তিটি বিক্রির প্রস্তাব দিলে বিষয়টি এই গোয়েন্দার নজরে আসে।

চুরি হওয়ার প্রায় ৫০ বছর পর রোমান দেবতা বাক্কাসের একটি মূর্তি ফ্রান্সের জাদুঘরে ফিরে এসেছে। এই জাদুঘরের গ্যালারি থেকেই এটি চুরি হয়ে গিয়েছিল।

খ্রিষ্টীয় প্রথম শতাব্দীতে ব্রোঞ্জ নির্মিত বাক্কাসের শিশুমূর্তিটি ১৯৭৩ সালের ডিসেম্বরে চুরি হয়ে যায়। চোরের দল একই সঙ্গে জাদুঘরে রক্ষিত ৫ হাজার রোমান মুদ্রাও নিয়ে যায়। বাক্কাস হলেন দেবরাজ জিউসের পুত্র।

দেবতা বাক্কাসের মূর্তি চুরি হওয়ার ৫০ বছর পর তা খুঁজে পেয়েছেন শিল্প গোয়েন্দা আর্থার ব্র্যান্ড। অস্ট্রিয়ান একজন সংগ্রাহক এক ক্লায়েন্টকে মূর্তিটি বিক্রির প্রস্তাব দিলে বিষয়টি এই গোয়েন্দার নজরে আসে।

আর্থার ব্র্যান্ড বিবিসিকে বলেন, ‘এমন গুরুত্বপূর্ণ কোনো কিছু চুরি হয়ে যাওয়ার ৫০ বছর পর তা ফিরে পাওয়াটা স্বাভাবিকভাবে হয়ে ওঠে না। সাধারণত এর আগেই তা ধ্বংস হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে এ ঘটনা নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রম।’

১৮৯৪ সালে পূর্ব ফ্রান্সের ভার্টিলামের গ্যালো-রোমান গ্রামে মাটি খোঁড়ার সময় ৪০ সেন্টিমিটার দীর্ঘ মূর্তিটি পাওয়া যায়। কয়েক বছর পর সেটি প্যারিসে সেরা শিল্পকর্মের দর্শনীতে প্রদর্শন করা হয়।

আর্থার ব্র্যান্ড মূর্তিটি ফিরিয়ে দেয়ার সময় জাদুঘরের পরিচালক ক্যাথরিন মনেঁ আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন।

আর্থার ব্র্যান্ড চলতি সপ্তাহে মূর্তিটি ‘মুসে দ্যুপে শাতিঁয়’তে হস্তান্তর করেন। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ক্যাথরিন মনেঁ বলেন, ‘মূর্তিটি চুরি হয়ে যাওয়ার পর এর একটি অনুলিপি জাদুঘরে রাখা হয়। অথচ প্রকৃত মূর্তিটি তার চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর।’

ব্র্যান্ড বলেন, ‘মূর্তিটি দেখে জাদুঘরের পরিচালক আবেগতাড়িত হয়ে আনন্দে কেঁদে ফেলেন। তিনি খুব নার্ভাস হয়ে পড়েন। আশঙ্কা করছিলাম, মূর্তিটি হয়তো তার হাত থেকে পড়ে যাবে।’

ডাচ শিল্প গোয়েন্দা ব্র্যান্ড সারা বিশ্বে চুরি হওয়া গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নসম্পদ খুঁজে বের করার জন্য বিশেষভাবে খ্যাতিমান। তিনি বলেন, ‘জাদুঘর কর্তৃপক্ষ বিস্মিত হয়েছে যখন তাদের বলা হয় যে হারিয়ে যাওয়া মূর্তিটি খুঁজে পাওয়া গেছে।’

ব্র্যান্ড বর্ণনা করেছেন কীভাবে একজন ক্লায়েন্টের সঙ্গে তার যোগাযোগ স্থাপিত হয়। অস্ট্রিয়ান সংগ্রাহক মূর্তিটি বিক্রির প্রস্তাব করলে ওই ক্লায়েন্ট ব্র্যান্ডের কাছে মূর্তিটির বিশেষত্ব সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। আর এটি বেআইনি কিছু নয়- এমন সরল বিশ্বাসেই তিনি মূর্তিটি কিনেছিলেন।

১৯৭৩ সালে মূর্তিটি নিয়ে কোনো তথ্য কোনো ডেটাবেজে ছিল না। তবে ব্র্যান্ড হাল ছাড়েননি। ১৯২৭ সালের একটি প্রত্নতত্ত্ব ম্যাগাজিনে মূর্তিটির রেফারেন্স খুঁজে পান তিনি। এর ধারাবাহিকতায় ফরাসি পুলিশও মূর্তিটি চুরির সময়ের তাদের প্রতিবেদন খুঁজে পায়।

ব্র্যান্ড বলেন, ‘আমি ওই সংগ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি জানান, তার সংগ্রহে একটি মূর্তি রয়েছে এবং এটি তিনি নিজের কাছে রাখতে চান না। এ জন্য তিনি মূর্তিটি ফেরত দিতে চান। কারণ ফরাসি আইন অনুযায়ী, কোনো প্রত্নসম্পদ নিজের কাছে রাখতে গেলেও এটি নিরাপদ রাখার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দিতে হয়।’

এ বিভাগের আরো খবর