বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফিলিস্তিনিদের নিয়ে ইসরায়েলি নীতি বর্ণবাদী: অ্যামনেস্টি

  •    
  • ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২৩:৫৮

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ‘ইসরায়েল এমন একটি প্রাতিষ্ঠানিক নির্যাতন ব্যবস্থা কায়েম করেছে যার মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের ওপর কর্তৃত্ব ফলানো যায়।’

ইসরায়েলের ভেতর ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে ইসরায়েলের নীতি, আইন ও আচরণ বর্ণবাদের সমতুল্য বলে জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ‘ইসরায়েল এমন একটি প্রাতিষ্ঠানিক নির্যাতন ব্যবস্থা কায়েম করেছে যার মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের ওপর কর্তৃত্ব ফলানো যায়।’

আন্তর্জাতিক আইনে এ ধরনের নির্যাতনমূলক ব্যবস্থাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।

ইসরায়েল সরকার অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনটিকে মিথ্যা উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে।

ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘অ্যামনেস্টি ইসরায়েলকে ঘৃণা করে এমন সব সংগঠনের কাছ থেকে পাওয়া মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সব তথ্যের পুনরাবৃত্তি করেছে।

‘একটি ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকার ইসরায়েলের যে অধিকার এই প্রতিবেদন তা অগ্রাহ্য করেছে। প্রতিবেদনে ইতিহাস বিকৃতি করে ইসরায়েলকে দানব বানানোর চেষ্টা হয়েছে, ইহুদি বিদ্বেষে উসকানি দেয়া হয়েছে।’

ফিলিস্তিনিরা নিকৃষ্ট 'অ-ইহুদি'

ইসরায়েলের প্রায় ৯৫ লাখ জনসংখ্যার ২০ শতাংশ আরব যাদের অনেকেই নিজেদের ফিলিস্তিনি বলে পরিচয় দেয়।

কাগজ-কলমে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ইসরায়েলের সব নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে। কিন্তু অ্যামনেস্টির প্রতিবেদন বলছে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের নিকৃষ্ট 'অ-ইহুদি' জাতিগোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে। তাদের সঙ্গে সেই রকম আচরণ করে।

এছাড়া, পূর্ব জেরুসালেম ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ২৯ লাখ ফিলিস্তিনি বসবাস করে। গাজায় রয়েছে ১৯ লাখ ফিলিস্তিনি।

পশ্চিম তীরের সিংহভাগ এলাকাই ফিলিস্তিনি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে। আর গাজা ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে হামাস।

পশ্চিম তীরে নির্মিত ১৪০টি বসতিতে বসবাস করে ৬ লাখেরও বেশি ইহুদি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সিংহভাগই এসব বসতিকে অবৈধ স্থাপনা হিসেবে বিবেচনা করে, যদিও ইসরায়েল তা নিয়ে বিতর্ক করে।

অ্যামনেস্টি বলছে, ইসরায়েলের বাইরে যেসব ফিলিস্তিনি শরণার্থী বাস করছে আইন করে তাদের অধিকার খর্ব করা হয়েছে, তাদের বাড়িঘরে ফেরার রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

'মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শামিল'

অ্যামনেস্টি বলছে, ফিলিস্তিনি এলাকাগুলোকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে তাদের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা ও নির্যাতনের ভিত্তি তৈরি করেছে ইসরায়েল।

তাদের নাগরিকত্ব ও বসবাসের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। পারিবারিক জীবন ও চলাফেরার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অ্যামনেস্টি এসব অনেক ঘটনার তথ্যপ্রমাণ নথিবদ্ধ করেছে ।

অ্যামনেস্টি বলছে, প্রচলিত ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের প্রতি যে অন্যায় করছে তা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শামিল।

অ্যামনেস্টির জেনারেল সেক্রেটারি অ্যাগনেস ক্যালামার্ড এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘লাখ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ও দীর্ঘমেয়াদি বর্ণবাদী নির্যাতন চালিয়ে যাওয়ার যে ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে তার পেছনে কোনো যুক্তিই থাকতে পারে না।

‘ইসরায়েলের এই বর্ণবাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চোখ খুলতে হবে।’

ওদিকে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিড বলেছেন, ‘সিরিয়া তার নিজের দেশের পাঁচ লাখ মানুষকে হত্যা করেছে। ইরান বা আফ্রিকা ও যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দুর্নীতিগ্রস্ত রাষ্ট্রকে অ্যামনেস্টি বর্ণবাদী বলে না।

‘ইসরায়েল যদি একটি ইহুদি রাষ্ট্র না হতো তাহলে অ্যামনেস্টি এই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এমন কথা বলার সাহস করতো না।’

এ বিভাগের আরো খবর